নিজের গ্যাটের কড়ি খরচ করে বা জনগণের থেকে চাঁদা তুলে Hockey WC খেলতে এসেছে ওয়েলস
শুভব্রত মুখার্জি: ভারতের ভুবনেশ্বর এবং রাউরকেল্লাতে বসেছে হকি বিশ্বকাপের আসর।গোটা বিশ্ব থেকে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা অংশ নিচ্ছেন এই বিশ্বকাপে। তবে এই বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া সব দেশের মধ্যে কিছুটা হলেও অনন্য ওয়েলস। বলা যায়, অনন্য তাদের দেশের হকি খেলোয়াড়রা। কোনও স্পন্সর বা সরকারের টাকাতে নয়, তাঁরা খেলতে এসেছেন হয় নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে, না হয় ‘ক্রাউডফান্ডিং’ করে! অর্থাৎ দেশের জনগণ চাঁদা তুলে দিয়েছে খেলোয়াড়দের হকি বিশ্বকাপে খেলতে আসার জন্য।
আরও পড়ুন: স্পেনকে ২-০ হারিয়ে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল ভারত
প্রসঙ্গত, হকি বিশ্বকাপে এ বার অভিষেক হয়েছে ওয়েলস দলের। তাদের বাজেট অথবা দলের খেলোয়াড়দের সংখ্যা- সব কিছুতেই বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে ওয়েলসের। সেই সব কিছুকে সঙ্গী করেই তারা এসেছে ভারতে। ভারতীয় হকি দলের সদস্যরাও বেশ কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছেন। তাঁদের অনেকেই আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল ঘর থেকে উঠে আসেননি। তবে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পরেই তাঁদের অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। থাকা, খাওয়া, যাতায়াত, পারিশ্রমিক থেকে সব কিছুর দায়িত্ব কার্যত বহন করে হকি ফেডারেশনের কতৃর্পক্ষ। তবে ওয়েলসের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা।
আরও পড়ুন: প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরা ভারতের প্রাক্তন হকি অধিনায়ক সন্দীপকে
উল্লেখ্য ১২৮ বছর আগে প্রথম হকি খেলা শুরু করলেও ওয়েলসের এটাই প্রথম হকি বিশ্বকাপ। যেখানে নিজেদের পকেটের পয়সা দিয়ে কার্যত খেলতে হচ্ছে প্লেয়ারদের। দেশ থেকে আসা থেকে শুরু করে হোটেল খরচ, রোজকার খাওয়াদাওয়া সব কিছুর খরচ বহন করতে হচ্ছে প্লেয়ারদেরই। বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে ওয়েলস কোচ ড্যানিয়েল নিউকম্বের দাবি, ‘ওয়েলসে হকি খুব ছোট খেলা। আমরা যখন খেলি, তখন আমাদের দেশের জাতীয় স্টেডিয়ামে মাত্র ২০০ জন দর্শক থাকে সর্বাধিক। যা এখানকার তুলনায় (২০০০০) কিছুই না। সরকারের থেকে যে আর্থিক সাহায্যটা আমরা পাই, তা খুব সামান্য। সম্প্রতি আমরা একাধিক বড় টুর্নামেন্টে খেলেছি। খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি। ফলে অনেকগুলো সফর আমাদের করতে হয়েছে। যা আমাদের জন্য একটু সমস্যার। সরকার আমাদেরকে সহায়তা করছে। আমরা সম্প্রতি শার্টের স্পন্সর পেয়েছি। তবে বাজেটের তুলনায় তা খুব যৎসামান্য।’
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ওয়েলস হকি দলের সব খেলোয়াড়কে প্রায় জন পিছু ১০০০ পাউন্ড করে নিজের পকেট থেকে খরচ করতে হয়। অনেকে আবার বছরে ২০০০ পাউন্ডও প্রায় খরচ করেন। তাতেও সব খরচ জোগানো সম্ভব হয় না। ফলে হকি ওয়েলসের তরফে সম্প্রতি এক নয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। ‘ক্রাউডফান্ডিং’ অর্থাৎ জনগণের থেকে কার্যত চাঁদা বা অনুদান সংগ্রহ করা হচ্ছে জাতীয় দলের জন্য।
For all the latest Sports News Click Here