নিজেদের জালেই ফেঁসে গেল শ্রীলঙ্কা, লিয়ঁ-হেডের স্পিনে ভর করে ১০ উইকেটে জিতল অজিরা
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে চরম অস্ট্রেলিয়ান ভক্তরাও হয়তো ভাবতে পারেননি যে তৃতীয় দিনে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ম্যাচ জিতে যাবে অস্ট্রেলিয়া। তবে এমনটাই ঘটল। নিজেদের পাতানো জালে নিজেরাই ফেঁসে গিয়ে গলে ১০ উইকেট প্রথম টেস্ট হারল শ্রীলঙ্কা।
তবে দিনের শুরুটা লঙ্কানরা কিন্তু দারুণভাবেই করেছিল। দিনের দ্বিতীয় ওভারের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়াকে গুটিয়ে দেয় তারা। আসিথা ফার্নান্ডো দুই দারুণ রিভার্স সুইং বলে প্য়াট কামিন্স ও মিচেল সোয়েপসনকে আউট করেন। গত রাতের স্কোরের সঙ্গে আর মাত্র আট রান যোগ করে ৩২১ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ব্যাটে নেমেও দুর্ধর্ষ স্টার্ট। মিচেল স্টার্কের প্রথম ওভারেই ১৭ রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। তবে মাত্র পঞ্চম ওভারে দুই দিক থেকে স্পিন আক্রমণ শুরু হতেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ধরন নকল করতে গিয়েই অহেতুক ঝুঁকি নিয়ে পরপর সাজঘরে ফেরেন দিমুথ করুণারত্নে, কুশল মেন্ডিসরা। তৃতীয় দিন করোনা পজিটিভ হওয়ায় দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ মাঠে নামেননি। তাঁর অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পেল দ্বীপরাষ্ট্র। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১৩ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। ন্যাথন লিয়ঁ চার এবং ট্রাভিস হেড নিজের কেরিয়ার সেরা, ১০ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নেন। বাকি দুই উইকেট নেন লেগ স্পিনার সোয়েপসন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্পিনারদের দাপট এতটাই ছিল যে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স নিজে দ্বিতীয় ইনিংসে এক বলও করেননি। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ রান প্রয়োজন ছিল। মাত্র চার বলেই একটি ছয় ও একটি চার মেরে খেলা শেষ করে দেন ডেভিড ওয়ার্নার। স্পিনজালে অজিদের ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেল লঙ্কানরা। লিয়ঁ ম্যাচে মোট ৯ উইকেট নিলেও, দ্বিতীয় দিনে কঠিন পিচে অসাধারণ ৭৭ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরা হন ক্যামেরন গ্রিন। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের পর প্রথমবার শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ জিতল অজিরা। সে জয়ও এসেছিল গলেই। তবে এই প্রথম দ্বিতীয় ব্যাট করেও জয় পেল তারা। এর আগের সাতটি জয়
For all the latest Sports News Click Here