না রাঁধতে ভালোবাসেন, না খেতে! তাহলে কেন রান্নার খাতা রাখেন দিদি নম্বর ১-র রচনা?
নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি বাংলার জনপ্রিয় গেম শো ‘দিদি নম্বর ১’র সঞ্চালনার দায়িত্ব বছর দশেক ধরেই তাঁর কাঁধে। সঙ্গে নানা বিজ্ঞাপন, ফ্যাশন শ্যুট তো আছেই। সম্প্রতি শুরু করেছেন শাড়ির ব্যবসা। তবে, এসবের মাঝেই সময় বের করেন ছেলের জন্য। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একমাত্র ছেলের নাম প্রণিল বসু। ছেলেকে নিয়ে মাঝেসাঝেই চলে যান রেস্তোরাঁয় বা বাইরে ঘুরতে। সাথে আরেকটা কাজও করে থাকেন। তাও আবার খাতা দেখে। একেবারে বাধ্য ছাত্রীর মতো।
রচনা সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি তেমন খেতে ভালোবাসেন না! এমনকী, এক খাবার কেউ যদি তাঁকে রোজ রোজ দেয় তাও খেয়ে নেবেন। তবে, তাঁর ছেলের নানা ধরনের খাবার খাওয়ার খুব শখ। সেগুলো কিন্তু বাড়ির রোজকার খাবার নয়। বরং পাস্তা, পিৎজা, কনটিনেন্টাল নানা পদ। প্রণিল যেমন সেগুলো রেস্তোরাঁ থেকে অর্ডার করে বাড়িতে আনায়, আবার মায়ের কাছে মাঝেসাঝে তা বানিয়ে দেওয়ারও আবদার রাখেন।
আর এই কাজেই ব্যবহার হয় রান্নার খাতা। রচনা ছেলের পছন্দের সব রেসিপি লিখে রাখেন একটা খাতায়। আর ছেলে আবদার জুড়লেই সেখান থেকে দেখে দেখে তা বানিয়ে দেন অভিনেত্রী।
২০০৭ সালে প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন রচনা। তাঁদের একমাত্র সন্তান প্রণিল। যদিও বহুদিন ধরেই প্রবালের থেকে আলাদা থাকেন। কিন্তু ক’দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে রচনা নিজের মুখেই জানিয়েছেন আলাদা থাকলেও তাঁদের বিচ্ছেদ হয়নি। স্বামীর সাথে তাঁর সম্পর্ক এখন বন্ধুর মতো।
রচনা জানিয়েছেন ছেলেকে সাথে নিয়ে তিনজন রেস্তোরাঁয় খেতে যান। ছেলের পরীক্ষা থাকলে স্বামী বাড়িতে এসে থাকে, ছেলেকে পড়ায়। তিনজনে মিলে একসঙ্গে বসে গল্প করেন, হাসি-ঠাট্টাও করেন। ছেলের জন্যই দু’জনে অফিসিয়ালি আলাদা না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চাননি প্রণিলের গায়ে সেঁটে যাক ডিভোর্সি সন্তানের তকমা।
For all the latest entertainment News Click Here