না খেলতে পারাটা হতাশার কিন্তু…. CSK-তে হতাশাজনক মরশুম নিয়ে মুখ খুললেন স্টোকস

চেন্নাই সুপার কিংসের শুরুটা কিন্তু সে ভাবে ছন্দে হয়নি। যদিও তারা যত সময় গড়িয়েছে, তত নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। তবে শুরুর দিকে একের পর এক তারকা প্লেয়ারের চোটের কারণে তারা বেগতিক হয়ে পড়েছিল। সেই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছিল না।

তবে নিজেদের গুছিয়ে শেষ পর্যন্ত ২০২৩ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালে ওঠে সিএসকে। এবং ফাইনালে তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সকে শেষ বলের থ্রিলারে পরাজিত করে পঞ্চম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়। আমদাবাদে অবিরাম বৃষ্টির কারণে প্রায় তিন দিন গড়ায় ফাইনাল ম্যাচটি। যাইহোক মরশুমের শুরুতেই নিজেদের এবং আইপিএলের প্রথম ম্যাচে টাইটান্সের কাছে হার দিয়ে শুরু করেছিল। শুরুতে ধারাবাহিকতারও অভাব ছিল চেন্নাইয়ের।

এর বড় কারণ ছিল তারকা অলরাউন্ডার এবং ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকসের প্রথম দুই ম্যাচে হতাশাজনক পারফরম্যান্স। এবং তার পর তাঁর চোট। ১৬.২৫ কোটি দাম দিয়ে সিএসকে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে ২০২৩ আইপিএল মিনি নিলামে কিনেছিল স্টোকসকে। ইংল্যান্ডের তারকা মাত্র ২টি ম্যাচ খেলেছেন। বাকি সময়টা চোট নিয়ে রিজার্ভ বেঞ্চ গরম করেছেন। ২ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১৫ রান। আর বল করেছেন ১ ওভার। ১৮ রান দিয়ে কোনও উইকেটই তিনি পাননি।

তবে স্টোকস দাবি করেছেন, চেন্নাইয়ের আইপিএল জয়ে তাঁর ভূমিকা ছিল অনেকটা প্রাক্তন ব্রিটিশ ফুটবল অধিনায়ক জন টেরির মতো। ২০২০ সালে চেলসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও, ফাইনালে সারাক্ষণ রিজার্ভ বেঞ্চেই বসেছিলেন অধিনায়ক টেরি। ২০১২ সালেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলতে পারেনি নির্বাসনের জন্য। স্টোকস বোঝাতে চেয়েছেন, তিনিও বসে থেকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

আমদাবাদে চেন্নাই সুপার কিংসের রোমাঞ্চকর ফাইনালে জেতার কয়েক দিন পর লর্ডসে সাংবাদিকদের তারকা অলরাউন্ডার কৌতুক করে বলেছেন, ‘চেন্নাইয়ের আইপিএল জয়ে আমার ভূমিকা ছিল অনেকটা জন টেরির মতো।’

চোটের জন্য আইপিএলে খেলার তেমন সুযোগ না পেলেও, টেস্ট ম্যাচ খেলা নিয়ে চিন্তিত নন স্টোকস। যদিও তিনি কিছুটা হতাশ। স্টোকসের সতীর্থ ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ জোরে বোলার জেমস অ্যান্ডারসন তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, নিয়মিত খেলার মধ্যে না থাকায় টেস্টে বল করতে তাঁর সমস্যা হবে কিনা। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেছেন, ‘খেললে আমি হয়তো খানিকটা বোলিং করার সুযোগ পেতাম। তাতে অনেক তরতাজা হয়ে উঠতে পারতাম। কিন্তু এখন আর সেটা সম্ভব নয়। খেলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল সব কিছু সঠিক ভাবে পরিচালনা করা। শরীর ঠিক রাখার জন্য খুব বেশি বল করার দরকার হয় না আমার। আমি দীর্ঘ সময় বিশ্রামে থাকলেও সমস্যা হয় না। অল্প সময়ের মধ্যেই খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি। তার সঙ্গে বল করা বা না করার কোনও সম্পর্ক নেই।’

তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘একবার আপনি টুর্নামেন্টেের মধ্যে ঢুকে পড়লে, খেলা ভ্রমণ, এই ধরনের সমস্ত জিনিসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। না খেলতে পারাটা হতাশার। তবে আমি আসলে একটি হতাশাজনক পরিস্থিতিকে একটি ইতিবাচক অবস্থাতে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কারণ আমি সঠিক ভাবে প্রশিক্ষণে মনোনিবেশ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। তা ব্যাট সহ প্রযুক্তিগত জিনিস হোক বা ফিটনেস বাড়ানো হোক। অন্য কিছুর উপর ফোকাস করার জন্য দীর্ঘ সময় পেয়েছিলাম। হয়তো দেখলে মনে হবে, শুধুমাত্র দু’টি ম্যাচ খেলেছি। যা হতাশাজনক। কিন্তু আমি তখন অন্য কিছু করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এখন বসে ভাবি, সেটা হয়তো আসলে খারাপের মাঝে আমার জন্য আশীর্বাদ ছিল।’

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.