নায়ক হিসেবে ফ্লপ, করেন না ছবি! উদয় চোপড়ার আয় শুনলে চমকে যেতে পারেন
সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম। বাবা যশ চোপড়া, দাদা আদিত্য চোপড়া। বলিউডের সবচেয়ে বড় প্রযোজনার সংস্থার উত্তরাধিকার তিনি। এ হেন উদয় চোপড়ার সাফল্যের পথ যে মাত্রাতিরিক্ত মসৃন হবে, তা নতুন করে বলে দিতে হয় না। তবে বাবা-দাদার পথে হেঁটে নিজেকে ক্যামেরার নেপথ্যে আটকে রাখেননি তিনি। অভিনয় করেছেন একাধিক ছবিতে।
‘নীল অ্যান্ড নিকি’, ‘প্যায়ার ইম্পসিবল’, ‘মেরি ইয়ার কি শাদি হ্যায়’— উদয়কে ‘সফল’ নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কোনও ত্রুটি রাখেনি যশরাজ ফিল্মস। তবু ঈপ্সিত সাফল্য থেকে গিয়েছে অধরা। ২০১৪ সালের পর বড় পর্দাকে বিদায় জানিয়েছেন ‘ধুম’-এর আলি। পারতপক্ষে পার্শ্বচরিত্রেও দেখা মেলে না তাঁর। কিন্তু তাতেও উদয় রোজগারে কিন্তু এতটুকু ভাটা পড়েনি। ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির তারকাদের মতোই বিলাসবহুল জীবনযাপন তাঁর। কিন্তু কী ভাবে?
উদয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩৮ কোটি টাকা। ‘ফ্লপ’ নায়কের এত টাকা? উদয় আর অভিনয় করেন না ঠিকই। তবে দাদা আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে ‘ওয়াইআরএফ এন্টারটেনমেন্ট’-এর ব্যবসা দেখাশোনা করেন। এ ছাড়াও ‘ইয়োমিক্স’ নামে উদয়ের নিজস্ব একটি সংস্থা আছে। যশরাজ ফিল্মসের বিখ্যাত নানা ছবির কমিক তৈরি করে সেটি। লাভের পরিমাণও প্রচুর।
১৯৯৪ সালে ‘দিললাগি’-তে অভিনেতা হিসেবে হাতেখড়ি হয় উদয়ের। প্রথম ছবিতেই সহকর্মী হিসেবে পেয়েছিলেন অক্ষয় কুমার, কাজল এবং সইফ আলি খানকে। বক্স অফিসেও আসে সাফল্য। এর পর ‘মহব্বতে’, ‘ধুম’-এর মতো একাধিক ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় চরিত্রে তিনি নজর কাড়তে ব্যর্থ। নায়ক হিসেবে খুব বেশি নম্বর পাননি ঠিকই। কিন্তু ব্যবসায়ী হিসেবে যে উদয় সফল, তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না।
For all the latest entertainment News Click Here