‘নাহলে আজ মন্নত থাকত না’, শাহরুখের কেরিয়ার গড়ে দিয়েছেন সলমন খানই! কীভাবে?
সলমন খান, বলিউড খানদানের অন্যতম উজ্জ্বল তারকা। আসমুদ্রহিমাচলে তাঁর প্রশংসকের সংখ্যা অগুণতি। তিনি বলিউডের চিরন্তন প্রেম। ‘বিবি হো তো এয়সি’ থেকে ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’, দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে হিন্দি সিনেমার প্রথম সারির নায়ক সলমন খান। প্রেম থেকে দবাং খান হয়ে উঠবার এই জার্নিটা সহজ ছিল না, তবে নিজ ক্যারিশ্মায় কোনও এক জাদুমন্ত্রে সেই অসাধ্য সাধন করেছেন তিনি। বিতর্ক শুরু থেকেই ঘিরে থেকেছে সলমনের কেরিয়ার, বারবার আদালতের চক্কর কেটেছেন অভিনেতা। কখনও কৃষ্ণসার হরিন শিকার মামলা তো কখনও হিট অ্যান্ড রান মামলায় ফেঁসেছেন ভাইজান, কিন্তু এতটুকুও ভাটা পড়েনি তাঁর জনপ্রিয়তায়। আজ ৫৬তম জন্মদিন সেলিব্রেট করছেন সেলিম খান ও সলমা খানের বড় ছেলে।
সলমন-শাহরুখ-আমির, বলিউডের তিন খানের রেষারেষি জারি রয়েছে গত তিন দশক ধরে। সেই লড়াই নির্দিষ্ট সময়ে কেউ এগিয়ে কেউ পিছিয়ে থেকেছেন। কেরিয়ারের গোড়া থেকেই অভিন্ন হৃদয় বন্ধু ছিলেন সলমন-শাহরুখ, কিন্তু ২০০৮ সালে ক্যাটরিনার জন্মদিনের পার্টিতে শাহরুখ-সলমনের ‘ঝগড়া’ বলিউডের এক না-ভোলা আখ্যান। যদিও শাহরুখ-সলমনের সম্পর্কের তিক্ততা শুরু হয় ২০০২ সালে ‘চলতে চলতে’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন। কেন্দ্রে ছিলেন ঐশ্বর্য। সলমনের জন্য ওই ছবি থেকে বাধ্য হয়ে ঐশ্বর্যকে বাদ দিয়েছিলেন শাহরুখ।
জীবনে কোনওদিন কোনও আক্ষেপ নেই সলমনের। শাহরুখের ভাঙা সম্পর্ক বেশ কয়েক বছর আগেই জোড়া লেগেছে সলমনের। কিন্তু জানেন কি প্রায় ১৪ বছর আগের এক সাক্ষাত্কারে পরোক্ষভাবে সলমন বলেছিলেন শাহরুখের কেরিয়ার গড়ে দিয়েছেন তিনি!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া ওই সাক্ষাত্কারে ভাইজানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ‘চক দে’র সাফল্য নিয়ে। জানতে চাওয়া হয়, সলমনের এই নিয়ে কোনও ঈর্ষা বা ক্ষোভ রয়েছে কিনা। জবাবে সলমন বলেছিলেন, একেবারেই নয়! আমি এই ফিল্মের অফারটা ফিরিয়েছিলাম, এবং ও সেই ছবিটা সাইন করেছিল। এটার মধ্যে কিছু ভুল নেই’। এই সাক্ষাত্কারেই সলমন ফাঁস করেছিলেন শাহরুখের কেরিয়ারের প্রথম হিট ছবি বাজিগরের জন্য পরিচালকদের প্রথম পছন্দ ছিলেন তিনি।
সলমন যোগ করেন, ‘জানেন কি আমি বাজিগর ছবির অফারও ফিরিয়েছিলাম! যখন আব্বাস মস্তান আমার কাছে ওই ছবির স্ক্রিপ্ট নিয়ে আসে আমি বাবাকে (সেলিম খান) জিজ্ঞাসা করেছিলাম ওঁনার ইনপুট। উনি মনে করেছিলেন এই ছবির প্রধান চরিত্রটা নেগেটিভ, তাই এখানে ওই চরিত্রের সঙ্গে একটা মায়ের অ্যাঙ্গেল জুড়ে দেওয়াটা জরুরি। ওঁরা রাজি হয়নি, আমি এরপর ছবিটা ফিরিয়ে দিই এবং ওঁনারা শাহরুখের কাছে যান। তবে মজার ব্যাপার হল সেইবার মায়ের পটভূমিকা জুড়ে নিয়ে যান। শাহরুখ রাজি হয় বাজিগর হতে। তবে এটা নিয়েও আমার কোনও আক্ষেপ নেই। একবার ভেবে দেখুন, যদি আমি বাজিগর করতে রাজি হতাম, তাহলে আজ ব্যান্ডস্ট্যান্ডে কোনও মন্নত (শাহরুখের বাড়ি) মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকত না। আমি খুব খুশি শাহরুখের জন্য আর ওর সফল কেরিয়ারের জন্য’।
২০০৮ সালে ক্যাটরিনার জন্মদিনের পার্টিতে সলমন-শাহরুখের বহু আলোচিত ঝগড়ার পর দীর্ঘদিন পর্দার ‘করণ-অর্জুন’-এর মধ্যে কোনওরকম সম্পর্ক না থাকলেও দুই পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় ছিল। সলমনের বোন অর্পিতা খানের বিয়েতে ফের জোড়া লাগে দুই খানের সম্পর্ক। অর্পিতাকে ছোট বোনের চোখেই দেখেন শাহরুখ। আবদার করে শাহরুখকে নিজের বিয়েতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল অর্পিতা। এবং সেখানেই দুই দাদার মধ্যে সব ভুল বোঝাবুঝি দূর করান অর্পিতা।
For all the latest entertainment News Click Here