‘নায়িকা হতে চাইনি, অন্য লক্ষ্য ছিল’, স্নেহার স্বপ্ন কী ছিল
‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ সিরিজটি মার্চ মাসে মুক্তি পায়। এই সিরিজ নিয়ে বিপুল চর্চা শুরু হয়ে তখন। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় তো বটেই আরও একজনের অভিনয় এখানে নজর কেড়েছিল। কে বলুন তো? হ্যাঁ, ঠিকই আন্দাজ করেছেন ‘লছমি’ স্নেহা। একটা সময় তাঁকে মূলত ছোট পর্দাতেই দেখা যেত। এখন তিনি সিরিজ থেকে সিরিয়াল সবেতেই কাজ করছেন। তিনিই সম্প্রতি তাঁর কেরিয়ার সহ ব্যক্তি জীবনের নানা খুঁটিনাটি একটা সাক্ষাৎকারে জানালেন।
‘লছমি’ চরিত্রটা কী আলাদা করে কেরিয়ারের ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে স্নেহাকে? উত্তরে স্নেহা আনন্দবাজারকে বলেন, ‘আমার কেরিয়ারের গ্রাফ বাড়াতে অনেকটাই সাহায্য করেছে এই চরিত্র। এই মুহূর্তটাকে আমি ভীষণই উপভোগ করেছি। আমি জানি সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তাই আবার কবে সেই দিন আসবে জানি না। ফলে এখনই উপভোগ করছি।’
এটাই প্রথম নাকি এর আগেও স্নেহার কোনও চরিত্র নিয়ে এতটা চর্চা হয়েছিল? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘যদি সিরিজের কথা বলেন তাহলে এটাই প্রথম। তবে সিরিয়ালের দিক দিয়ে দেখতে গেলে স্টার জলসার জল নূপুর ধারাবাহিকে আমার করা ভূমিসূতা বসুমল্লিকের চরিত্রটা বিপুল জনপ্রিয় হয়েছিল। বেশ চর্চাও হয়েছিল।’
অভিনেত্রী তো উনি বটেই, কিন্তু কখনও নায়িকা হতে ইচ্ছে হয়নি? স্নেহার উত্তর এই বিষয়ে একদমই স্পষ্ট। তিনি জানান, ‘আমার লক্ষ্য ছিল অভিনয় করা। আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম যে আমি ভালো কাজ করব। তাতে নায়িকা হলাম তো ঠিক আছে। নইলে অভিনয়টাই জরুরি। নায়িকা হওয়ার লোভ আমার কোনও দিনই ছিল না।’
কিন্তু কোনটা ভালো কাজ সেটার বিচার করেন কীভাবে? স্নেহা এই বিষয়ে বলেন, ‘প্রযোজক বা পরিচালকরা যখন গল্পটি বলেন, আমার চরিত্রের কতটা গুরুত্ব সেটা বলেন সেটা শুনেই ঠিক করি।’
সিরিয়াল সিরিজে কাজ করে ফেললেও এখনও সিনেমায় কেন দেখা যায় না স্নেহাকে? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা আমি সত্যি জানি না। আমার যাঁরা চেনা পরিচালক যেমন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, এঁদের আমি বলেছিলাম যে আমি ছবিতে কাজ করতে চাই। কিন্তু আমি যাঁদের বলিনি তাঁদের থেকেই কাজের সুযোগ এসেছে। যেমন রাজর্ষি দে, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। দেবালয়কেও অনেক আগে বলে রেখেছিলাম, তারপরই এই সুযোগ আসে হঠাৎ করে।’
For all the latest entertainment News Click Here