নায়কের অনিলকে দেখে উদ্দীপ্ত শাকিব, ২-১ মাসেই বদলাতে পারেন BPL-এর ছন্নছাড়া ছবি!
বলিউড মুভি ‘নায়ক’ শাকিব আল হাসনকে কতটা অনুপ্রাণিত করেছে, অবশেষে সেটা বোঝা গেল তাঁর নিজের কথাতেই। কিছু বদলানোর ইচ্ছা থাকলে যে একদিনেই তা করা যায়, সেটা বোঝাতেই ‘একদিনের মুখ্যমন্ত্রী’ অনিল কাপুরের উদাহরণ দেন বাংলাদেশের তারকা অল-রাউন্ডার।
আসলে বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগ নিয়ে চলা ডামাডোলে বিরক্ত শাকিব। ছন্নছাড়াভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। শাকিব এটাই বুঝে উঠতে পারছেন না যে, ছবিটা বদলাতে অসুবিধা হচ্ছে কোথায়। সমস্যা বুঝেও কেন সমাধানের উপায় খোঁজা হচ্ছে না! প্রসঙ্গক্রমে শাকিব জানান, তাঁকে বিপিএলের সিইও বানিয়ে দেওয়া হলে দু-এক মাসেই তিনি সব ঠিক করে দেবেন।
শাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিশেষ করে এবছর বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগ যে সব সমস্যার মুখে পড়েছে, তিনি টুর্নামেন্টের প্রধান হলে তার সমাধানে কী কী পদক্ষেপ নিতেন? জবাবে তারকা ক্রিকেটার জানান, তিনি সময় মতো টুর্নামেন্টের ড্রাফট আয়োজন করতেন এবং এমন একটা উইন্ডো খুঁজে বার করতেন, যাতে অন্যন্য লিগের সূচির সঙ্গে সংঘাত না বাঁধে।
আরও পড়ুন:- IND vs SL Probable XI: স্যামসন নেই, শিকে ছিঁড়তে পারে ত্রিপাঠীর ভাগ্যে, দেখুন ভারত-শ্রীলঙ্কার সম্ভাব্য একাদশ
শাকিব বলেন, ‘যদি ওরা আমাকে বিপিএলের সিইও বানিয়ে দেয়, তবে সব কিছু ঠিকঠাক করতে আমার এক-দু’মাস সময় লাগবে। আপনারা নায়ক সিনেমা দেখেছেন তো? যদি আপনি কিছু করতে চান, তবে সেটা একদিনেই করা যায়। আমি বিপিএলের ড্রাফট ও নিলাম যথা সময়ে আয়োজন করতাম। সেই সঙ্গে বিপিএল আয়োজন করতাম ফাঁকা সময়ে। সব আধুনিক প্রযুক্তি থাকবে আমাদের হাতে। ভালো মানের সম্প্রচারকারীর হাতে খেলা দেখানোর দায়িত্ব থাকবে এবং হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিক ম্যাচ কেন্দ্র থাকবে।’
আরও পড়ুন:- Ranji Trophy: অল্পে সন্তুষ্ট হওয়ার পাত্র নন, ফের সেঞ্চুরি করে বোঝালেন সরফরাজ
বিপিএল কর্তৃপক্ষ দলগুলির মালিকানা নিশ্চিত করতেই সময় নষ্ট করে। ফলে প্লেয়ার ড্রাফটও আয়োজিত হয় দেরিতে। তাছাড়া এমন একটা সময়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে, যখন আমিরশাহির ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-২০ ও দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ-২০ আয়োজিত হবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রথমসারির ক্রিকেটারদের সেই লিগগুলিতে খেলতে দেখা যাবে। এমনকি যে সব তারকা ক্রিকেটার বিপিএলে খেলার জন্য সই করেছেন, তাঁদেরও পুরো মরশুমে টুর্নামেন্টে পাওয়া যাবে না।
শাকিব আরও বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, যদি আমরা সবকিছু ঠিকঠাক করতে চাই, তবে আটকাচ্ছে কীসে? যদি আমদের ইচ্ছা থাকে, তবে কেন ডিআরএস ব্যবহার করা যাবে না? কেন তিন-চার মাস আগে ড্রাফট বা নিলাম আয়োজন করা যাবে না? অন্ততপক্ষে ২ মাস আগে কারা অংশ নেবে সেটাও নিশ্চিত করা কি খুব কঠিন? ক্রিকেটাররা একটা কী দু’টো ম্যাচে মাঠে নামতে পারবে। কেউই জানে না কতদিন তাদের পাওয়া যাবে টুর্নামেন্টে।’
For all the latest Sports News Click Here