‘নর্থ-ইস্টের কাছে হেরেই বলেছিলাম, ISL ফাইনালে খেলব’, কিবু হতে পারবেন ফেরান্দো?
একটা সময় প্লে-অফে পৌঁছানো নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে আইএসএলের ফাইনালে এটিকে মোহনবাগান। ফিরতি সেমিফাইনাল ম্যাচে হায়দরাবাদকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় সবুজ-মেরুন। আজ সন্ধ্যায় গোয়ার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসির মুখোমুখি তারা। ম্যাচ জিততে পারলেই আইএসএল ট্রফি জয়ের স্বপ্নপূরণ হবে।
স্বাভাবিকভাবেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে দুই শিবিরে। শুধুমাত্র অনুশীলন নয়। মানসিক ও দলগতভাবে প্রস্তুত থাকছে তারা। সেজন্য ফিনল্যান্ড থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে জনি কাউকোকে। ফাইনালে যাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হলেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার দলের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসা করুন, নর্থ-ইস্টের সঙ্গে হারের পরই আমি বলেছিলাম এই দল ফাইনাল খেলবে (উল্লেখ্যে, কিবু ভিকুনার আমলে যখন মোহনবাগান আই লিগ জিতেছিল, তখন সবুজ-মেরুনের ভাগ্য পরিবর্তন শুরু হয়েছিল একটা হেরে যাওয়া ম্যাচ দিয়ে – চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও সেটাই সবকিছু পালটে দিয়েছিল)। আজ আমরা ফাইনালে। আমাদের ছেলেরা নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। ফাইনালেও একই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে তারা। আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েই কলকাতায় ফিরতে চাই। ট্রফি জয় ছাড়া আর কিছুই মাথায় আসছে না। ছেলেদের সেটা ভালো করে বুঝিয়েও দিয়েছি।’
মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরুর এই দুই পরিস্থিতি অনেকটা রি-ইউনিয়ন অর্থাৎ পুনর্মিলনের মতো। প্রীতম কোটাল, রয় কৃষ্ণ, সন্দেশ একে অপরের সঙ্গে খেলে এসেছেন। ফলে এবার তারা দুই প্রতিপক্ষ। একে অপরের দুর্বলতা জানেন তারা। এই ম্যাচকে ঘিরে অনেকটা পূর্ণ মিলনের বার্তা রয়েছে। যে রয় কৃষ্ণ, প্রবীর দাসেদের সঙ্গে বসে খেলার স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে হত, তারাই আজকের ট্রফির মাঝখানে চলে এসেছে। মোহনবাগানের প্রীতম বলে যান, ‘রয় কৃষ্ণকে কীভাবে আটকাব, সেটা বলবে না। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে ও অসাধারণ ফুটবলার। ওকে আটকানোর জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। তা মাঠে দেখা যাবে।’
মোহনবাগানের অন্যতম ভরসা হুগো বৌমস। মাঝমাঠের দায়িত্ব তার কাঁধেই। তাঁর বাড়ানো বল থেকে অভিমুখ খুলবে। অনেক ঘাম ঝরিয়ে তাঁকে আনতে হয়েছে মোহনবাগানে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি অনেকদিন ধরেই ভারতীয় ফুটবল খেলছি। খুব অল্প বয়সে এসেছিলাম এখন। ২৮ হয়ে গিয়েছে। দেখতে দেখতে পাঁচ বছর কাটিয়ে ফেললাম। ফাইনালের গুরুত্ব আমি জানি। গোটা দলও প্রস্তুত ফাইনালে বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হতে। চ্যাম্পিয়ন হতেই আমরা এসেছি। কাপ নিয়ে কলকাতা ফিরব।’
For all the latest Sports News Click Here