‘নবাব’ বাংলোয় গেলে তাঁর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল? নওয়াজউদ্দিনের ভিডিয়ো ফাঁস আলিয়ার

নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির লড়াই ক্রমশ আরও তিক্ত হচ্ছে। কখনও নওয়াজ, কখনওবা আলিয়া, একে অপরের বিরুদ্ধে চলছে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা। সম্প্রতি, নওয়াজ অভিযোগ তোলেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গেই নাকি আলিয়ার এখনও বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি। তাই আইনত আলিয়া এখনও তাঁর প্রথম স্বামীরই স্ত্রী। নওয়াজের এই অভিযোগের দু’দিন পরেই ইনস্টাগ্রামে বিস্ফোরক একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন আলিয়া সিদ্দিকি।

কী রয়েছে সেই ভিডিয়োতে?

যেদিন আলিয়া নওয়াজের ‘নবাব’ বাংলোয় গিয়েছিলেন, ভিডিয়োটি সেদিনকার। সেখানে আলিয়াকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমিও তোমাকে একেবারেই বিশ্বাস করি না। তুমি তো আমাদের সন্তানকেই অস্বীকার করছো।’ নওয়াজ কে বলতে শোনা যায়, ‘যা হবে কোর্টে। আলিয়া তখন বলেন, বাচ্চা তো কোর্ট জন্ম দেয়নি, তুমি দিয়েছ। ২০১৩-১৬ পর্যন্ত আমরা যে আইনত স্বামী-স্ত্রী হিসাবে ছিলাম, সেটার কী? সন্তানের জন্ম তো আমি তোমার স্ত্রী হয়েই দিয়েছি। শোরাকে যখন বিদেশে পাঠালে সেখানেও আমার নাম স্ত্রী হিসাবেই উল্লেখ ছিল।’ নওয়াজকে বলতে শোনা যায়, ‘সেসব বাচ্চার জন্য করেছি।’

শুধু কথোপকথন ভিডিয়োতেই শেষ নয়, আলিয়া লিখেছেন, ‘এটা ভেবে কষ্ট হচ্ছে যে আমার জীবনের ১৮ বছর এমন একজন মানুষকে দিয়েছি, যাঁর চোখে আমার কোনও মূল্য নেই। ওঁর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা ২০০৪ সালে। আমরা তখন একতা নগর, চরকোপ, মাহদা, মুম্বইতে থাকার সময় আমরা লিভ-ইন রিলেশনশিপে ছিলাম। তখন আমি নওয়াজ আর ওর ভাই শামসুদ্দিন সিদ্দিকি একটা ঘরে একসঙ্গে সুখেই ছিলাম। সেসময় আমার বিশ্বাস ছিল ও আমায় ভালোবাসে, আমাকে সুখে রাখবে সারাজীবন। যদিও নওয়াজের তখন পয়সা ছিল না, খাবার টাকাও থাকত না, শামসউদ্দিনই কোনও স্বার্থ ছাড়া সবকিছুর ব্যবস্থা করতেন। এরপর ২০১০-এ আমরা বিয়ে করি, ঠিক এক বছর পর আমাদের একটা সন্তান হয়। প্রসবের জন্য টাকার দরকার ছিল, সেসময় আমি আমার মায়ের দেওয়া ফ্ল্যাট বিক্রি করে দি, ওকে একটা গাড়িও কিনে দি, কারণ ও বাসে যাতায়াত করতে পারত না। আর এখন সেই মানুষটাই সম্পূর্ণ বদলে অমানুষ হয়ে গিয়েছে।’

আলিয়া আরও লিখেছেন, ‘এই মানুষটি কখনওই মহাল ছিলেন না। ইনি প্রাক্তন প্রেমিকা, স্ত্রী সকলকেই অসম্মান করেছেন, আর এখন আমায় করছেন, বাচ্চাদেরও টার্গেট করছেন। একটা মানুষ কীভাবে এত নিচে নামতে পারেন, যেখানে সমস্ত নথিতে আমায় উনি স্ত্রী হিসাবে লিখেছেন। আমি যদি আগেই সচেতন হতাম তাহলে আমার ভবিষ্যৎ আজ এমন হত না। আমি ১২ বছর ধরে অনেক সহ্য করেছি। এর থেকে আমি অল্প অর্থ থাকবে এমন মানুষকেও বেছে নিতে পারতাম, অন্তত যে এমন মিথ্যেবাদি প্রতারক হতেন না। আমি যখন ওকে বিয়ে করি, তখন আমির ওর এই রূপ দেখিনি। প্রথম সন্তান জন্মের পর ও আমায় তালাক দিয়েছিল, বিবাহ-বিচ্ছেদের পরও আমি ওর সঙ্গে ছিলাম, লিভ-ইনে থাকার সময়ই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দি, পরে বুঝি এমনকি আমি যখন ওর স্ত্রী ছিলাম, তখনও তিনি আমায় স্ত্রী হিসাবে মানেননি। এই অভিযোগগুলি খুব খারাপ এবং অসম্মানজনক। আমার এই মেসেজের একটাই কারণ, যে মানুষটা এত নিচে নেমে গিয়েছে, তাঁর আসল রং আমি দেখাতে চাই। প্রতারক যেকোনও ধর্মের মানুষই হতে পারেন, যাঁর বেড়ে ওঠার সময় ঠিক শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, তিনি কখনও এভাবে প্রতারণা করবেন না। তাই সকলকে অনুরোধ ধর্ম দিয়ে মানুষ বিচার করবেন না। ’

 

 

 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.