নবনীতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ‘অবসাদে’ ভুগছেন? সোজাসাপটা জবাব জিতুর
সম্পর্ক ভাঙার খবর যবে থেকে সামনে এনেছেন চর্চায় নবনীতা দাস আর জিতু কমল। ‘অর্ধাঙ্গিনী’ (২০১৮) ধারাবাহিকে কাজ করতে গিয়ে আলাপ তাঁদের। সেইসময় নবনীতাই বিয়ের জন্য প্রপোজ করেছিল জিতুকে। জবাবে জিতু বলেছিলেন, ‘তুই তো বাচ্চা মেয়ে, তোকে কী বিয়ে করব’। পর্দার ঈশ্বরী-আয়ুশ প্রেম গড়ায় বাস্তবেও। তারপর বলা যায় চট মঙ্গনি, পট বিয়ে। ২০১৯ সালের ৬মে গাঁটছড়া বাঁধেন।
তবে ঠিক চার বছরের মাথায়, বিবাহবার্ষিকীর দিনকয়েকের মাথাতেই নবনীতা ফেসবুকে একটি লম্বা পোস্টে বিয়ে ভাঙার কথা লেখেন। তারপর থেকেই যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ইঙ্গিতবাহী পোস্ট এসেই চলেছে। আর যা ছাপ ফেলছে নেট-নাগরিকদের মনেও।
জিতুর পোস্ট দেখে অনেকেই মনে মনে ভেবে ভাবতে শুরু করেছেন, নবনীতার সঙ্গে বিচ্ছেদের জেরে হয়তো মানসিক অবসাদে ভুগছেন পর্দার সত্যজিৎ। সত্যি কি তাই, মনকষ্টে আছেন জিতু? অনুরাগীদের মনে ওঠা সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে গেলেন জিতু নিজেই। নিজের একটি ছবি শেয়ার করে দিলেন ইঙ্গিতবাহী ক্যাপশন। লিখলেন, ‘কারও ব্যবহারে তোমার অন্তরের শান্তি বিঘ্নিত করতে দিও না।’
জানা গিয়েছে, মাস তিনেক ধরেই আলাদা আলাদা থাকছেন জিতু আর নবনীতা। ডিভোর্সের আবেদন করার পর থেকেই আলাদা আলাদা থাকার শুরু। খুব সম্ভবত, সেপ্টেম্বরেই হয়ে যাবে ডিভোর্সের কাজ সম্পন্ন।
আলাদা হওয়ার কথা প্রথম ঘোষণা করেছিলেন নবনীতাই। সেইসময় তিনি লিখেছিলেন, ‘টেবিলে আর দুটো করে প্লেট থাকবে না। একজনের জন্য বানানো গ্রিন টি আর দুজনে মিলে ভাগ করে খাওয়া হবে না। টাওয়েল শেয়ার হবে না। সানস্ক্রিন ভাগাভাগি হবে না। কিছুই আর একসঙ্গে হবে না। তবুও এটাই শ্রেয়, কারণ আমরা দুজন দুজনের সাথে ভালো নেই। প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক। ভালো থেকো জিতু কমল।’
ডিভোর্স নিয়ে সাংবাদিকদের সবরকম প্রশ্ন এড়িয়েই চলেছেন জিতু। যদিও নবনীতা নিজের দিক থেকে জানিয়েছেন, এখনও কথা হয় তাঁর আর জিতুর। এমনকী তিনি বিয়ের ফুল ধারাবাহিক শুরু করার আগেও তিনি জিতুর পরামর্শ নিয়েছিলেন।
নবনীতাও সাফ জানিয়েছেন, বিয়েটা না টিকলেও নিজেদের সম্পর্কে কোনও তিক্ততা চাননি তাঁরা। চেয়েছেন, এরকম যেন না হয় রাস্তায় বা কোথাও দেখা হলে একে-অপরকে এরিয়ে চলছেন।
For all the latest entertainment News Click Here