নন স্ট্রাইকার শঙ্করকে রান আউটের ব্যর্থ প্রয়াস, এই নিয়ে তৃতীয় প্রচেষ্টা চাহারের
নন স্ট্রাইকার প্রান্তে রান আউটকে ক্রিকেটে আইনত স্বীকৃতি দিয়েছে এমসিসি। এটাকে আর মানকাডিংও বলা যাবে না। তবে এখনও এই আউট নিয়ে ট্যাবু আছেই। মঙ্গলবার চলতি আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটানস এবং চেন্নাই সুপার কিংস। সেই ম্যাচেও এই পদ্ধতিতে নন স্ট্রাইকারকে আউটের চেষ্টা করেন সিএসকের বোলার দীপক চাহার। তবে সাফল্য তাঁর হাতে ধরা দেয়নি। কারণ নন স্ট্রাইকার প্রান্তে দীপক চাহারের ছোঁড়া বল উইকেটে গিয়ে লেগে বেল পড়ে গেলেও বিজয়শঙ্করের ব্যাট ক্রিজের মধ্যেই ছিল তখন। ফলে প্রয়াস থাকলেও উইকেট পেলেন না দীপক।
দীপক চাহারের কেরিয়ারে এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও রবিচন্দ্রন অশ্বিন হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন তিনি সাফল্য পাননি। আর মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে তৃতীয়বার তিনি এই ঘটনা ঘটালেও তাঁর প্রাপ্তির ভাড়ার শূন্য।২০২২ সালের অগস্টে জিম্বাবোয়ের ব্যাটার ইনোসেন্ট কাইয়াকে নন স্ট্রাইকার প্রান্তে রান আউট করে দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেবার এই আউটের জন্য কোন ও আপিল করেননি তিনি। দ্বিতীয় বার তিনি এই ঘটনা ঘটান ২০২২ সালেরই অক্টোবর মাসে।এইবার বোলিং রান আপে ক্রিজে পৌঁছেই দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার স্টাবসের দিকে তাকালেও তিনি তাঁকে রান আউট করার চেষ্টা করেননি। ২০২৩ সালের মে মাসে অর্থাৎ মঙ্গলবারের ম্যাচে তৃতীয়বার এই ঘটনা ঘটে। বোলিং রান আপে না দাঁড়িয়েই তিনি নন স্ট্রাইকার প্রান্তের উইকেটের বেল উড়িয়ে দেন। তবে নন স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকা বিজয় শঙ্করের ব্যাট কিন্তু ক্রিজের মধ্যেই ছিল। ফলে ফের সাফল্য অধরা থেকে যায় তাঁর কাছে। সেই সময় ধোনির মুখের অভিব্যক্তি ছিল দেখার মতো। কিছুটা অবাকই হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
শেষপর্যন্ত চাহার আউট করতে পারলে ধোনি আপিলটা ফিরিয়ে দিতেন কিনা, সেটা দেখার মতো হত। তবে এই আউট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিমত আছে। অনেকেই মনে করেন এই আউট স্পিরিট অফ দ্য গেমের বিপক্ষে। যদিও অন্যদের কথায় এটি তো আইনি। তাহলে অসুবিধা কী। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা যেমন ব্যক্তিগত ভাবে এই আউটের বিরোধী।
দীপক চাহার নন স্ট্রাইকার প্রান্তে বিজয়শঙ্করকে রান আউট করতে না পারলেও কিন্তু এদিন সিএসকের কাছে হেরে গিয়েছে গুজরাট টাইটানস। ১৫ রানের ব্যবধানে তাদেরকে হারিয়ে দিয়েছে ধোনি বাহিনী।প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এদিন চেন্নাই সুপার কিংস ৭ উইকেটে ১৭২ রান করে। তাদের হয়ে রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৬০),ডেভন কনওয়ে (৪০) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (২২) গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। জবাবে ১৫৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় গুজরাট। শুভমন গিল (৪২) এবং রশিদ খান (৩০) ব্যাট হাতে লড়ার চেষ্টা করলেও গুজরাটের হয়ে শেষ রক্ষা করতে পারেননি।
For all the latest Sports News Click Here