নতুন শুরু! প্রেমদিবসে জেনে নিন কবে ও কোথায় হচ্ছে দুর্নিবার-ঐন্দ্রিলার বিয়ে…
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এখন অতীত। সঙ্গীতশিল্পী দুর্নিবার সাহার জীবনজুড়ে এখন শুধুই বর্তমান মোহর। ঐন্দ্রিলার হাতে হাত রেখেই জীবনের নতুন শুরু করতে চলেছেন সঙ্গীতশিল্পী। ঐন্দ্রিলা ওরফে মোহরের সঙ্গে দুর্নিবারের প্রেমের গুঞ্জন উঠতেই তা ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে লুকোছাপা করেননি দুর্নিবার। গতবছরই সকলের সামনে ভালোবাসার কথা কবুল করেছিলেন গায়ক। পরে ঐন্দ্রিলাও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লিখিছিলেন, ‘স্বীকার করছি আমি তোমাকে ভালোবাসি।’
যাইহোক ভালোবাসার স্বীকারোক্তি পার করে দুর্নিবার-ঐন্দ্রিলা এখন আরও অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। দুজনেই তাঁরা এই ভালোবাসাকে পূর্ণতা দিতে প্রস্তুত। সামনেই তাঁদের বিয়ে। আগামী ৯ মার্চ সাতপাকে বাঁধা পড়ছেন দুর্নিবার-ঐন্দ্রিলা। প্রেমদিবসের আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে প্রেমের শুরু, পথচলা, বিয়ের দিনক্ষণ, পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে জানালেন গায়ক দুর্নিবার সাহা।
প্রেমের শুরু কীভাবে?
দুর্নিবার : আমাদের পরিচয়, প্রেম সবটাই ভবিতব্য বলে আমার মনে হয়। (হাসি) কারণ, আমাদের কাজের জায়গাটা সম্পূর্ণ আলাদা। ওর কাজ প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে (প্রসঙ্গত মোহর হলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ম্যানেজার) আর আমি শিল্পী। ২০২১-এ ও আমার সামপ্লেস এলসে আমার একটা কনসার্ট শুনতে এসেছিল, সেদিনই প্রথম আলাপ হয়, নম্বর দেওয়া-নেওয়া করি। তবে আমরা তখনও খুব বেশি এগোয়নি। বেশ কয়েকমাস পর একটা ছবির ট্রেলার লঞ্চে আমাদের আবারও দেখা হয়। ওই ইভেন্টের পর আমরা দুজনেই ভাবছিলাম কোথায় যাওয়া যায়। দুজনে মিলে যাদবপুরে লক্ষ্মীছাড়া-র কনসার্টে যাওয়ার কথা ঠিক করি। ওই কনসার্টে গিয়েই আমরা একে অপরের প্রতি বিশেষকিছু অনুভব করি। কোথাও না কোথাও হয়ত আমাদের মধ্যে সেই প্রেমটা লুকিয়ে ছিল, সেটাই বের হয়ে আসে (হাসি)।
একটা সম্পর্ক থেকে বের হয়ে নতুন সম্পর্ক… কী বলবে?
দুর্নিবার : বিষয়টা তা নয়। মোহরের (ঐন্দ্রিলা সেন) সঙ্গে যখন সম্পর্কটা শুরু হয়, তখন ইতিমধ্যেই ডিভোর্স ফাইল করে দিয়েছি। আইনত আমরা আলাদা, সেই আলাদা হওয়ার পরই আমরা দুজনে সম্পর্ক নিয়ে এগিয়েছি, কথা বলছি। যখন আমার সঙ্গে মোহরের প্রথম দেখা হয়েছিল, তখন মীনাক্ষী আর আমি আলাদা থাকি। তখন আগের সম্পর্কের সঙ্গে মানসিক বা শারীরিক কোনও যোগও ছিল না।
নতুন সম্পর্ককে দুই পরিবার কীভাবে গ্রহণ করেছিল?
দুর্নিবার : দুই পরিবার-ই ভালোভাাবে গ্রহণ করেছে। দুপক্ষের সমর্থন পেয়েছি। আমাদের পরিবার আমাদের ভালো থাকাকেই গুরুত্ব দিয়েছে। আমরা মানসিকভাবে ঠিক আছি কিনা, ভবিষ্যতে ভালো থাকব কিনা, সেটা যাচাই করে পরিবার প্রথম থেকেই পাশে ছিল। এখনও আছে সবরকম ভাবে।
সামনেই তো বিয়ে, কীভাবে পরিকল্পনা চলছে?
দুর্নিবার : হ্যাঁ, বিয়েটা ৯ মার্চ, রিসেপশন বিয়ের জন্য আসলে বাবা-মা, পরিবারের সদস্যরা সবকিছু পরিকল্পনা করছেন। ৫০ থেকে ৬০শতাংশ প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছে। আশাকরি সকলের ভালোবাসা ও আশীর্বাদে বিয়েটাও ভালোভাবে হয়ে যাবে।
বিয়ের অনুষ্ঠান কোথায় হচ্ছে?
দুর্নিবার : ৯ মার্চ বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে হোটেল হিন্দুস্থান ইন্টারন্যাশনাল-এ। আর ১১ মার্চ রিসেপশন হবে দক্ষিণ কলকাতা সংসদ, ডিকেএস ক্লাবে। নিমন্ত্রণপত্রও সাড়া একপ্রকার হয়ে গিয়েছে, পরিবারের সকলকে বাবা-মায়েরাই নিমন্ত্রণ করছেন, আর বন্ধুদের আমি আর মোহর।
For all the latest entertainment News Click Here