নতুন করে কী শেখাবে কাউন্টি? তার থেকে IPL-এর রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকাও লাভজনক- রুট
নিলামে পর্যাপ্ত দাম না পেয়ে অতীতে আইপিএল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে দেখা গিয়েছে একাধিক ক্রিকেটারকে। রিজার্ভ বেঞ্চে বসে সময় কাটে, প্রথম একাদশ সুযোগ না পেয়ে আইপিএল ছাড়তেও দেখা গিয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের। যদিও মুখে অন্য কারণ জানানো হয়, পরে আসল বিষয়টা সামনে আসে।
তবে জো রুট অন্য ধাতুতে গড়া। তাঁর ক্রিকেট দর্শন বাকিদের থেকে আলাদা। ৩২ বছর বয়সে এসেও রুটের শেখার আগ্রহ ও নিজেকে পরিণত করার ইচ্ছাই তাঁকে এবছর ধরে রাখে আইপিএলের আঙিনায়।
জো রুট ক্রিকেটের মহাতারকা সন্দেহ নেই। তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে ৩১৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৬৪টি ম্যাচে। এক দশকের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ১৮০৪৮ রান সংগ্রহ করেছেন রুট। নিজের প্রজন্মের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত হন ব্রিটিশ তারকা।
এমন হাই প্রোফাইল ক্রিকেটারকে চলতি আইপিএলে দিনের পর দিন রাজস্থান রয়্যালসের রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা যায়। প্রথম ১০টি ম্যাচে গলায় গোলাপি তোয়ালে নিয়ে জলবাহকের কাজ করতে দেখা যায় জো রুটকে। পরে তিনটি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেলেও নিজের প্রথম ২টি ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ হয়নি তাঁর। নিজের তৃতীয় ম্যাচে প্রথমবার আইপিএলে ব্যাট করতে নামেন রুট। আরসিবির বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ১৫ বলে ১০ রান করেন তিনি।
রুটকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখার পিছনে রাজস্থানের যথাযথ কম্বিনেশনই দায়ী। কেননা জোস বাটলার ও শিমরন হেতমায়ের চার জনের বিদেশি কোটায় অটোমেটিক চয়েজ। বাকি ২টি জায়গায় রয়্যালস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করছিল জেসন হোল্ডার, ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যাডাম জাম্পাদের। সুতরাং, নিজের সুযোগের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় ছিল না রুটের।
আরও পড়ুন:- সেই রিয়ালকেই ৪-০ গোলে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সিটি, গুয়ার্দিওলার দাবি, ‘এক বছর ধরে পুষে রাখা যন্ত্রণার উপশম’
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ থেকে খুব বেশি টাকা আয় করতে পারছেন না রুট। তাই আইপিএলে রিজার্ভ বেঞ্চ গরম করার চেয়ে রুটের উচিত ছিল অ্যাসেজের আগে কাউন্টি ক্রিকেট খেলে নিজেকে প্রস্তুত করা। যদিও জো রুট নিজে তেমনটা মনে করছেন না। বরং আইপিএলের অভিজ্ঞতা থেকে কীভাবে নিজেকে পরিণত করে তুলতে পারবেন, ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে সেকথাই জানান ব্রিটিশ তারকা।
রুট বলেন, ‘শুরুতেই এটা বলে নিই যে, ইয়র্কশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলা আমার ভীষণ পছন্দের। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের ভিত্তিই হল কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ। প্লেয়ারদের পরিণত করে তোলার ক্ষেত্রে কাউন্টির জুড়ি নেই। তবে যতদূর নিজের খেলা এবং নিজেকে পরিণত করে তোলার প্রসঙ্গ, ৩২ বছর বয়সে এসে আমার এই প্রথমবার এমন (আইপিএলের) অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আমি মনে করি যে, কাউন্টি খেলার থেকেও আইপিএলের এই অভিজ্ঞতাই দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে আমাকে উপকৃত করবে। কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে কাউন্টির চারটি ম্যাচ থেকে আমি খুব বেশি কিছু শিখতে পারতাম না। তাছাড়া সূচির দিকে তাকান, একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে এবং বৃষ্টি বিঘ্নিত আরও একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।’
আরও পড়ুন:- CSK vs KKR: ‘সব দল হোম অ্যাডভান্টেজ পায়, একমাত্র KKR ছাড়া’, চিপকে জিতে ঘুরিয়ে ইডেনকে কটাক্ষ নীতীশ রানার
রুট আরও বলেন, ‘কাউন্টির এই ম্যাচগুলি আমাকে যথার্থই অ্যাসেজের জন্য প্রস্তুত করে তুলত কি? তার থেকে বিশ্বকাপের ৬ মাস আগে ভারতের পরিবেশে খেলা, বিভিন্ন ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথাবার্তা, যত বেশি সম্ভব শেখার চেষ্টা করা, এগুলি আমাকে পরবর্তী সময়ে বেশি সাহায্য করবে না কি?’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
For all the latest Sports News Click Here