নজিরবিহীন কটাক্ষের পর ‘বাদাম কাকু’ ভুবনের ভিডিয়ো মুছল সামপ্লেস এলস কর্তৃপক্ষ!
ইতিমধ্যেই তাঁর খ্যাতি ভুবন জোড়া, আসলে তাঁর নামের সঙ্গেই তো জড়িয়ে রয়েছে জগত। কথা হচ্ছে ‘কাঁচা বাদাম’ খ্যাত গায়ক ভুবন বাদ্যকরের। শুক্রবার তিনি লাইভ পারফর্ম করলেন তিলোত্তমার নামী পাবে। কলকাতার ঐতিহ্যবাহী পাব ‘সামপ্লেস এলস’-এ স্যুট-বুট পরে গান গাইছেন বীরভূমের কুড়ালজুলির বাদাম বিক্রেতা। এই দৃশ্য অনেকের কাছে অস্বস্তিকর ঠেকেছে। এর জেরে পার কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেন অনেকেই।
এই পাবেই পিঙ্ক ফ্লয়েড কিংবা বব ডিলান থেকে মার্কিন গায়ক জন মেয়ারের গানের কভার গেয়ে থাকেন শহরের প্রতিভাবান উঠতি রক গায়করা, সেখানে বীরভূমের এক বাদাম বিক্রেতা ‘কাঁচা বাদাম’ গাইছেন এই মঞ্চে- তা দেখে বাঙালির একাংশের আত্মসম্মানে ঘা লেগেছে। এরপর থেকেই শুরু হয় ট্রোলিং। ভুবন বাদ্যকরের লাইভ পারফরম্যান্স ফেসবুক লাইভে পোস্ট করেছিল পাব কর্তৃপক্ষ, সেখানেই ক্ষোভ উগরে দেন অনেকে।
ট্রোলিং এর চাপে শেষ পর্যন্ত ভুবন বাদ্যকারের লাইভের সেই ভিডিয়ো ডিলিট করে দিল সেই পাব! ওই ভিডিয়ো মুছলেও ভুবন বাদ্যকরের পাশে দাঁড়িয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করে সামপ্লেস এলস।
বদলে ভুবন বাদ্যকারের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয় যে এই পাব সঙ্গীত, সংস্কৃতি, মানুষকে ভালোবাসে। এবং নতুন প্রতিভাকে সুযোগ দিতেই তাঁরা সবসময় আগ্রহী। কেবলমাত্র ভুবন বাদ্যকর গরীব বলে তাঁর এই পাবে গাইবার যোগ্যতা নেই, তেমনটা মনে করেন না তাঁরা। পাশাপাশি সংগীত শাশ্বত এবং জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ সংগীতের জগতে সমান। মূলত শ্রেণি বৈষম্যের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়াল তাঁরা।
এই পোস্টের কমেন্ট বিভাগও দেখার মতো। অনেব মানুষই মানুষ মাটির গায়য়কে সুযোগ দেওয়ার জন্য বাহবা দিয়েছে পাব কর্তৃপক্ষকে, অনেকেই আবার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। আপনাদের কী মনে হয়?
For all the latest entertainment News Click Here