ধোনি কি এবার সিনেমার নায়ক হবেন? বরের হয়ে জবাব দিলেন সাক্ষী
কেউ তাঁকে দেখতে চান রাজনীতির ময়দানে। অনেকে তো দেশের ভাবি প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও ভেবে রেখেছেন তাঁরই নাম। কথা হচ্ছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটার এমএস ধোনির ব্যাপারে। অগুনতি ভক্ত তাঁর। দেশজুড়ে মানুষের থেকে পান অপরিসীম ভালোবাসা। তবে বারবার নিজেকে প্রচারের আলো থেকে দূরেই সরিয়ে রাখতে ভালোবাসেন। তবে সম্প্রতি ধোনি-পত্নী সাক্ষী জানালেন, ‘অভিনেতা হতেই পারে মাহি’।
সাক্ষী ধোনি আসন্ন তামিল ছবি এলজিএম (লেটস গেট ম্যারিড) দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে এলেন প্রযোজক হয়ে। ধোনি এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে প্রযোজিত সিনেমাটির প্রচারে সাক্ষী ফাঁস করলেন যে, এমএস ধোনি নায়ক হওয়ার জন্য প্রস্তুত, তবে শুধুমাত্র যদি একটি ভালো স্ক্রিপ্ট থাকে।
সাংবাদিকরা যখন সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, ‘কোনও সিনেমার নায়ক হিসেবে ধোনিকে কখনও দেখা যাবে কি না’, তাতে জবাব আসে, ‘যদি ভালো কিছু থাকে, তাহলে তিনি তা করতেই পারেন। ধোনি ক্যামেরা-লাজুক নন। ২০০৬ সাল থেকে বিজ্ঞাপনে অভিনয় করছেন এবং ক্যামেরার মুখোমুখি হতে ভয় পান না। তাই, ভালো কিছু থাকলে তা করতেই পারে।’
কোন ঘরনার ছবিতে দেখা যেতে পারে ধোনিকে? সাক্ষীর তাৎক্ষণিক জবাব, ‘অ্যাকশন। তিনি সর্বদা ওই মুডেই থাকেন।’নএলজিএম পরিচালক রমেশ থামিলমানি পাশ থেকে বলেন, ‘ধোনি বাস্তবের হিরো। তাই আমি ওঁকে সুপারহিরো ছবিতেই দেখতে চাই।’
প্রথম প্রযোজনার জন্য তামিল ছবি বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে সাক্ষী এর আগে জানিয়েছিলেন, এই রাজ্যের সঙ্গে ধোনির মানসিক সংযোগ। তাঁর কথায়, ‘আমরা ছোট কিছু দিয়েই কাজ শুরু করতে চেয়েছিলাম। আমরাও তো হাঁটা শিখছি, শিশুর মতো। তাই ধীরে ধীরে এগোতে হবে। অনেক জানতে হবে। আমরা চলে যাওয়ার জন্য আসিনি। দীর্ঘসময় থাকার জন্য এসেছি। তবে যখনই পিছন ফিরে তাকাব দেখতে পাব শুরুটা কোথা থেকে হয়েছিল। আর তামিল ভাষা বেছে নেওয়ার কারণ এখানকার মানুষদের সঙ্গে মানসিক সংযোগ আছে আমাদের। তাই ভাষাটা কোনও সমস্যাই নয়।’
২০১০ সালের ৪ জুলাই সাক্ষীর সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন মাহি দেরাদুনে। ধোনি এবং সাক্ষীর বাবা রাঁচিতে একই সংস্থায় কাজ করতেন। বহুদিন ধরেই এই দুই পরিবার একে অপরকে চিনতেন। ছোটবেলা থেকে একে অপরকে চিনতেন সাক্ষী আর ধোনিও। তবে কয়েকবছর পর সাক্ষীদের পরিবার চলে যায় দেরাদুনে। সম্পর্কও ছিন্ন হয়ে যায়। ঠিক ‘এমএস ধোনি দ্য আনটোল্ড স্টোরি’-তে যেমন দেখিয়েছিল, তেমনই কলকাতার একটি হোটেলে ধোনি এবং সাক্ষীর দেখা হয় প্রায় ১০ বছর পর। কলকাতার একটি হোটোলে উঠেছিলেন ইডেন গার্ডেনে ম্যাচ চলার সময়। আর সেখানে ইন্টার্নশিপ করছিলেন সাক্ষী। ধোনির ম্যানেজার এবং সাক্ষীর বন্ধু যুদ্ধজিৎ একে অপরের সঙ্গে পরিচয় করান। আর যুধাজিতের থেকে নম্বর নিয়ে সাক্ষীকে ফোন করা শুরু করেন ধোনি। সাক্ষীর এই সময় মনে হত, কেউ হয়তো ধোনির নাম নিয়ে তাঁর সঙ্গে মজা করছে। তবে একমাসের মধ্যেই কিন্তু প্রেমে পড়েন একে-অপরের। ২০০৮ সাল থেকে শুরু করেন ডেটিং। যার বছর দুইয়ের মধ্যেই ছাদনাতলায়। ২০১৫ সালে জন্ম হয় মেয়ে জিভার।
For all the latest entertainment News Click Here