ধুলোকণা: ‘এ বিয়ে হতে পারে না’, ফুলঝুড়ির বিয়ে শুনেই রেগে গেল লালন, প্রেম কি আছে?
দর্শক মনে ধীরে ধীরে নিজের জায়গা করে নিতে শুরু করেছে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’। বেশ নামজাদা কাস্টিং ও লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীর জাদুতে শুরু হলেও প্রথমদিকে সেভাবে দর্শক মনে ছাপ ফেলতে পারেনি। তবে, চলতি সপ্তাহে TRP তালিকায় অষ্টম স্থানে ৬.৭ রেটিংয়ের সঙ্গে রয়েছে এটি। আর এদিকে লেখিকাও নতুন টুইস্ট এনেছেন গল্পের দুই প্রধান কেন্দ্রীয় চরিত্র ফুলঝুড়ি ও লালনের জীবনে। এখন দেখার প্রেমটা কি আদৌ হবে।
‘ধুলোকণা’য় দেখা যাচ্ছে বিয়ে ঠিক হয়েছে ফুলঝুড়ির। নিজেই সেকথা জানায় লালনকে। শুনে তো সে আকাশ থেকে পড়ে। চোখের জল লুকিয়ে ফুলঝুড়ি জানায় বাবার বয়সী এক লোকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছে তাঁর পরিবার। আর সেই শুনেই লালন জানিয়ে দেয় এই বিয়ে হতে পারে না। যদিও ফুলঝুড়ি স্পষ্ট জানায়, ‘তুমি মালিকের মেয়ের সঙ্গে ঢলাঢলি করতে পারো, আর আমি বড়লোককে বিয়ে করতে পারি না?’ এবার কী হবে। লালন আর ফুলঝুড়ি কি বুঝবে একে-অপরকে তাঁরা মন দিয়ে বসেছে?
মানালি মনীষা দে ও ইন্দ্রাশীষ রায়ের জুটি ধারাবাহিকের অন্যতম আকর্ষণ। দু’জনেই লম্বা ব্রেকের পর ফিরেছেন ছোট পরদায়। বস্তির মেয়ে ফুলঝুড়ির একটাই স্বপ্ন, গুছিয়ে সংসার করবে। তারও একটা পরিবার হবে। যদিও এখন সে বাবা-মায়ের মুখে খাবার তুলে দিতে সে কাজ করে লোকের বাড়িতে। জীবনসংগ্রামেই কেটেছে গোটা জীনটা।
লালনও বড় গায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। ফুলঝুড়ি যেই বাড়িতে কাজ করে, সেই বাড়িতেই সে গাড়ি চালায় অর্থাভাবে। দু’জনের মধ্যে সম্পর্কও টকমিষ্টি। দু’জনেই বোঝে একে অপরের প্রতিকূলতা। কিন্তু মন খুলে একে-অন্যকে বলতে ভয় পায় মনের কথা। দর্শক মনে আশা, ফুলঝুড়ির বিয়ের কথা শুনে হয়তো মুখ ফুটে লালন বলবে তাঁর মনের কথা। বুঝবে আসলে সে মন দিয়েছে ফুলঝুড়িকে। লেখিকা কি সেটা করবেন এখনই?
For all the latest entertainment News Click Here