ধুন্ধুমার লড়াই শেষে ডু-অর-ডাই ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ-এ দল
আয়োজক শ্রীলঙ্কাকে গ্রুপ লিগের ম্যাচে হারিয়ে লড়াই জমিয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচেও কড়া টক্কর দেন অফগানরা। তবে শেষমেশ তীরে এসে তরী ডোবে আফগানিস্তান-এ দলের। বাংলাদেশ-এ দলের বিরুদ্ধে অল্প ব্যবধানে শেষ ম্যাচ হেরে বসায় ভালো খেলেও এবারের মতো এমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়ে হয় আফগানদের।
এ-গ্রুপের অপর ম্যাচে শ্রীলঙ্কা বড় ব্যবধানে ওমানকে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা নিশ্চিত করে। তিন দলের পয়েন্ট সমান হলেও নেট রান-রেটে পিছিয়ে থাকায় আফগানিস্তান ছিটকে যায় টুর্নামেন্ট থেকে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এ-গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালের টিকিট হাতে পায় বাংলাদেশ।
কলম্বোয় বাংলাদেশ-এ বনাম আফগানিস্তান-এ দলের ম্যাচটি কার্যত ভার্চুয়াল কোয়ার্টার ফাইনালের রূপ নেয়। কেননা ওমানের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় জয় তুলে নেওয়া নিয়ে সংশয় ছিল না কারও মনেই। টস জতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৮ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
আরও পড়ুন:- SL vs PAK 1st Test: অবিশ্বাস্য ডাবল সেঞ্চুরিতে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে গল টেস্টে চালকের আসনে বসালেন সউদ শাকিল
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শতরান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। তিনি ১২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১৪ বলে ১০০ রান করে আউট হন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাফ-সেঞ্চুরি করেন জাকির হাসান। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৭২ বলে ৬২ রান করে মাঠ ছাড়েন। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন সৌম্য সরকার। তিনি ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ বলে ৪৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এছাড়া মহম্মদ নইম ১৮, তানজিদ হাসান ৯, ক্যাপ্টেন সইফ হাসান ৪, উইকেটকিপার আকবর আলি ৪, মেহেদি হাসান অপরাজিত ৩৬ ও রাকিবুল হাসান অপরাজিত ১৫ রান করেন। আফগানদের হয়ে ৬৫ রানে ৪টি উইকেট নেন মহম্মদ সেলিম। ১টি করে উইকেট দখল করেন মহম্মদ ইব্রাহিম, জিয়া উর রহমান ও ইজহারউলহক নভিদ।
আরও পড়ুন:- ‘এটা আজও একটা রহস্য’, ২০১১-য় ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো ক্রিকেটাররা উপেক্ষিত হওয়ায় হতাশ ভজ্জি
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান-এ দল ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৭ রানে আটকে যায়। ২১ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। আফগান ওপেনার রিয়াজ হাসান ১০৫ বলে ৭৮ রান করেন। তিনি ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এছাড়া নূর আলি জাদরান ৪৪, ক্যাপ্টেন শহিদউল্লাহ ৪৪ ও বাহির শাহ অপরাজিত ৫৩ রান করেন।
বাংলাদেশের হয়ে ৬৭ রানে ৩টি উইকেট নেন তানজিম হাসান শাকিব। ২টি করে উইকেট পকেটে পোরেন রাকিবুল হাসান ও সৌম্য সরকার। ১টি উইকেট নেন রিপন মণ্ডল। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন মাহমুদুল হাসান জয়।
For all the latest Sports News Click Here