ধারাবাহিকে অতিরিক্ত সময় কাজে আমি নারাজ, তাই রোজই ঝগড়া হত: গৌরী
নাম গৌরী প্রধান। ‘কুটুম্ব’, ‘কিউকি শাস ভি কভি বহু থি’, ‘নাম গুম জায়েগা’ সহ বহু ধারাবাহিকের দৌলতে বেশ পরিচিত মুখ। একসময় টেলিভিশনের পর্দায় চুটিয়ে কাজ করেছেন। তবে টেলি ধারাবাহিকে কাজ করা যে কতটা কঠিন আর ক্লান্তিকর, সম্প্রতি সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী গৌরী প্রধান।
টেলিভিশনের শ্যুটিং যে কতটা কঠিন আর ক্লান্তিকর, সম্প্রতি সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী রাধিকা মদন। সেকথাই এক সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ খান্না তুলে ধরেন অভিনেত্রী গৌরী প্রধানের কাছে। রাধিকা মদনের বক্তব্যে সহমত প্রকাশ করেন গৌরী। বলেন, টেলিভিশনের শ্যুটিং দীর্ঘ সময় ধরে হয়। সেক্ষেত্রে সিনেমার শ্যুটিং অনেকটাই কেক ওয়াকের মতো। সিনেমার কাছে ছুটি পাওয়া যায়, অনেক শান্তিতে কাজ করা যায়।
আরও পড়ুন-দুর্ঘটনায় মৃত সুচন্দ্রা দাশগুপ্ত, অভিনেত্রীর মৃত্যুতে কী বলছে ‘গৌরী এলো’ টিম?
প্রসঙ্গত, একসময় ‘কুটুম্ব’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের দৌলতে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন গৌরী। ধারাবাহিকে অভিনেতা হিতেন তেজওয়ানির বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন গৌরী। যিনি বর্তমানে গৌরীর স্বামী। ধারাবাহিকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার বিষয়ে গৌরী বলেন, ধারাবাহিকে শিডিউলারের সঙ্গে আমার প্রতিদিন ঝগড়া হতো। এটা খুবই সাধারণ বিষয়… আমি সময়মতো আসা এবং সময়মতো চলে যাওয়ার জন্য পরিচিত ছিলাম। কুটুম্ব করার সময়। ধারাবাহিকে আমার চরিত্রে লম্বা চুলের প্রয়োজনে পরচুলা পরতাম। রাত ৯ টা বাজলেই সকলে মুখ চাওয়া চাওয়ি করতেন, কারণ আমি ৯টা বাজেই পরচুলা খুলে ফেলতাম। আমি সময়মতো বের হয়ে যেতাম, কারণ সময়ে ঢুকতাম। এটা আমার অধিকার।’
গৌরী বলেন, ‘এর জন্য আমার সঙ্গে রোজই লোকজনের ঝগড়া হত, বলত আমি নাকি নাক উঁচু, অহংকারী, মেজাজী, আমার সঙ্গে কাজ করা যায় না।আমার সঙ্গে রোজই ঝগড়া চলত।’ গৌরীর প্রধানের কথায়, ‘টেলিভিশন অভিনেতাদের জীবন খুব ক্লান্তিকর জীবনযাপন করেন। রোজই এক রুটিন। টেলি অভিনেতাদের কোনও সামাজিক জীবন নেই, পারিবারিক জীবন নেই, আমার সময় বলেও কিছুই নেই। আপনি বাড়িতে যান, আপনি খান, ঘুমান আবার পরের দিন সকালে চলে আসুন, খুব কঠিন।’
For all the latest entertainment News Click Here