দেউলিয়াত্বের দাবি ‘মিথ্যা’, লন্ডনের আদালতে বেকারের বিরুদ্ধে শুনানি শুরু
শুভব্রত মুখার্জি: অনেক চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না টেনিস কিংবদন্তি বরিস বেকার। ফলে ‘দেউলিয়া’ বেকারের এবার জেলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হল। ২০১৭ সালে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন ৬টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক। তার করা সেই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হলে ৭ বছর পর্যন্ত জেলে কাটাতে হতে পারে প্রাক্তন এই টেনিস তারকাকে।
প্রসঙ্গত স্থাবর, অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি মিলিয়ে বেকারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২.৩ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার বা ১.৮ মিলিয়ন পাউন্ড। যে সময় বেকার নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন সে সময় তার ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড। বেকারের নিজেকে দেউলিয়া বলে তোলা যে দাবি তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুনানি শুরু হয়েছে লন্ডনের সাউথার্ক ক্রাউন আদালতে।
প্রাথমিক শুনানির পর বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। যা বেকারের জন্য একেবারেই স্বস্তিদায়ক নয়। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে এই তথ্যগুলো জার্মানির এই প্রাক্তন টেনিস তারকার বিরুদ্ধে যেতে পারে। সম্প্রতি ৫৪ বছরের ক্রীড়াবিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি নিজের বেশ কিছু সম্পদের কথা গোপন করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই নিজেকে তিনি দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন। অভিযোগ লন্ডনের চেলসির ফ্ল্যাট এবং জার্মানিতে থাকা আরও দু’টি বহুমূল্য সম্পত্তির কথা বেকারের দেওয়া হিসাবে নেই। মানে তার দেউলিয়াত্বের ঘোষণার সময়কালে তা গোপন করা হয়েছিল।
প্রাক্তন টেনিস তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেশ কয়েক লক্ষ পাউন্ড নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। এই অর্থ সরিয়ে তিনি প্রাক্তন স্ত্রী বারবারা বেকার এবং বর্তমান স্ত্রী (এখন আলাদা থাকেন) শার্লে বেকারের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে তথ্য গোপন করে নিজেকে দেউলিয়া প্রমান করেছেন। এছাড়াও একটি সংস্থার ৭৫ হাজার শেয়ার রয়েছে তার যা তিনি গোপন করেছেন। টেনিস জীবনে জেতা বেশ কিছু ট্রফি-সহ অনেক সম্পত্তির কথাও গোপন করেছেন বেকার। আইনি ফাদে পড়া বেকারকে এবার এই সমস্ত অভিযোগ ভুল প্রমাণ করার জন্যই আইনি লড়াই লড়তে হবে। শুনানি চলবে আগামী তিন সপ্তাহ ধরে। এই শুনানির জন্য এক জন দোভাষী চেয়ে আবেদন করেছেন জার্মান তারকা।
For all the latest Sports News Click Here