‘দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে’! ঐন্দ্রিলাকে ‘ফাইটার’ বললেন মমতাও, জানালেন কুর্নিশ
১ নভেম্বর গিয়েছিলেন হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতেল ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর। সব্যসাচী সেই সময় ফেসবুকে বলেছিলেন, ‘নিজের হাতে ওকে নিয়ে এসেছি, নিজেই বাড়ি ফিরিয়ে আনব’। সেই আশাতেই বুক বেঁধেছিলেন অনুরাগীরা। লড়াইটা অসামান্য হলেও, শেষরক্ষা আর হল কই। মায়ের বুক খালি করে মেয়েটা চলেই গেল। সব্যাসাচীর সর্বক্ষণের সঙ্গীও আর রইল না। যেই বাবা মেয়েকে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে এতদিন উৎসাহ দিয়েছিলেন, সেই বাবার চোখের জলও তাই আটকাচ্ছে না। দিদিটাও হারিয়ে ফেলল ছোট্ট বোনকে।
অভিনেত্রীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও ঐন্দ্রিলাকে ‘ফাইটার’ বলেছেন। শোকবার্তায় কুর্নিশ জানিয়ে লিখেছেন, ‘প্রতিশ্রুতিময়ী তরুণী এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর।’ মমতা আরও লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে এ বছর ‘অসাধারণ প্রত্যাবর্তন’ বিভাগে টেলিসম্মান অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে।’ আরও লিখলেন, ‘ঐন্দ্রিলা মারণরোগের বিরুদ্ধে যে ভাবে লড়াই করেছেন, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে’। আরও পড়ুন: আয়নায় নিজেকে দেখে আঁতকে উঠেছিলেন ঐন্দ্রিলা! ক্যানসারে কী কষ্টই না পেয়েছিল মেয়েটা
ব্রেন স্ট্রোকের পর ধীরে ধীরে সেরে উঠছিলেন। তারপর ১৬ নভেম্বর সকালে দুবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তারপরে অবস্থা খুব খারাপ হয়। এমনকী, সেদিনই রাতে ছড়িয়ে যায় মারা গিয়েছেন অভিনেত্রী। মাঝরাতে সব্যসাচীকে ফেসবুকে লিখতে হয় ‘ওকে আরেকটু থাকতে দাও। এসব লেখার সময় পরেও পাবে।’ আরও পড়ুন: ২৪ বছরেই থেমে গেল জীবনঘড়ি! সব্যসাচীর হাতটা ছেড়ে ঐন্দ্রিলা চলেই গেলন অমৃতলোকে
তারপর শুক্রবারই সব্যসাচী জানিয়েছিলেন, বর্তমানে ঐন্দ্রিলা আগের তুলনায় ভালো আছেন। একপ্রকার কোনও সাপোর্ট ছাড়া আছেন। ভেন্টিলেশনে থেকেও বেরোনোর চেষ্টা করছেন অভিনেত্রী। শুনে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল সকলে। তবে শনিবার ফের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। এবার ১০ বার। এত ধকল আর নিতে পারল না মেয়েটা। ২০ নভেম্বর, দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা।
For all the latest entertainment News Click Here