দুর্নিবার-মোহরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ক্ষমা চাইলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, কী হল হঠাৎ?
৯ মার্চ দ্বিতীয়বার বিয়ে পিঁড়িতে বসলেন গায়ক দুর্নিবার। কিন্তু দুই বছরে দুবার বিয়ের পিঁড়িতে বসে কটাক্ষের শিকার হলেন তিনি। বাদ গেলেন না তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মোহর ওরফে ঐন্দ্রিলা সেনও। ঐন্দ্রিলা পেশায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জনসংযোগ আধিকারিক। অন্যদিকে দুর্নিবার সারেগামাপা রিয়েলিটি শো থেকে প্রচারের আলোয় আসেন। তাঁদের বিয়েতে টলিউডের একটা বড় অংশ নিমন্ত্রিত ছিল। সেখানে ঐন্দ্রিলার তরফে আমন্ত্রিত ছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও। কিন্তু উপস্থিত থাকতে পারেননি পরিচালক তাঁদের বিয়েতে। তাই ফেসবুকেই শুভেচ্ছা জানান তিনি। কিন্তু কী এমন হল যে শেষ পর্যন্ত তাঁকে ক্ষমা চাইতে হল?
৯ মার্চ কলকাতার একটি আলিশান হোটেলে বিবাহ বাসর বসেছিল দুর্নিবার, মোহরের। এদিন সন্ধ্যায় দিতিপ্রিয়া রায় থেকে শুরু করে ইশা সাহা, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। প্রসেনজিৎ তো নিজের হাতে পিঁড়ি ধরেছিলেন। কিন্তু হলে কী হবে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই বিয়ে নিয়ে চলছে তীব্র কটাক্ষ, বিদ্রুপ। আসলে অনেকেই দুই বছরে দুটো বিয়ে তো মানতেই পারছেন না। তার উপর অনেকেরই মতে ঐন্দ্রিলার তুলনায় দুর্নিবারের প্রাক্তন স্ত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় নাকি অনেক বেশি গুণী এবং সুন্দরী ছিলেন।
১০ মার্চ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐন্দ্রিলা এবং দুর্নিবারের একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মোহর ও দুর্নিবার শুভ বিবাহ। তোমরা ভালো থেকো সুখে থেকো। আমার পরিবারের তরফে অনেক শুভেচ্ছা।’ এই শুভেচ্ছাবার্তা পাওয়ার পরই দুর্নিবার তাতে কমেন্ট করেন ‘আশীর্বাদ করো।’ বাদ যান না মোহর নিজেও। তিনি কমেন্ট করেন এই পোস্টে।
নানা ব্যক্তির নানা মত দেখা যায় এই পোস্টে। একজন লেখেন, ‘ছেলেরা কত সহজে সব ভুলে যায়।’ আরেক ব্যক্তি লেখেন, ‘তৃতীয় বিয়ের সংবাদটা যেন তাড়াতাড়ি পাই।’ এমন সমস্ত মন্তব্য দেখে হতবাক হয়ে যান পরিচালক। তিনি বাধ্য হয়ে এই ধরনের মন্তব্যের উত্তর দিতে শুরু করেন। তিনি লেখেন, ‘আমি বেশ অবাক বেশ কিছু মন্তব্য দেখে! আমি পাত্রকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না।কাজের দৌলতে মোহর সঙ্গে পরিচয়। তাঁর তরফেই নিমন্ত্রণ ছিল,যাওয়া সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই সৌজন্যবোধে এই পোস্ট, আপনাদের রাগের উৎস নিয়ে অবগত নই। আমার শুভেচ্ছাবার্তা কারও ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে থাকলে দুঃখিত।’
২০১৭ সালে মীনাক্ষীর সঙ্গে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সারেন দুর্নিবার। এরপর তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ২০২১ সালে এসে অবশেষে তাঁরা সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই বিয়ে ভেঙে যায় ২০২২ এর মাঝামাঝি। এরপরই দুর্নিবার ঘোষণা করেন তাঁর দ্বিতীয় সম্পর্কের কথা। অবশেষে তিনি এবং ঐন্দ্রিলা প্রায় এক বছর প্রেম করার পর ৯ মার্চ সাত পাকে বাঁধা পড়েন।
For all the latest entertainment News Click Here