দুর্ঘটনায় মারা যাবে ওমি? নাকি সবটাই চক্রান্ত? জেনে নিন কী ঘটতে চলেছে ‘মিঠাই’-এ
নীপার মানভঞ্জন পর্ব তখনও জারি। আর কোনও পথ না পেয়ে রুদ্রকে ‘মনোহরা’য় আসতে বলে সিদ্ধার্থ। কিন্তু রুদ্রর কথা শোনার পরেই সে স্তম্ভিত। সে জানায়, একটি দুর্ঘটনায় ওমি আগরওয়াল মৃত।
বন্ধুর কথা বিশ্বাস করতে পারছে না সিদ্ধার্থ। ওমির মতো একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী আচমকাই মারা গেল? জেল পালানো একটা লোক সত্যিই এতটা অসাবধানী হতে পারে? এমনই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তার মাথায়। কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছে না সে। তাই রুদ্রর সঙ্গেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সিদ্ধার্থ। আসলে ঠিক কী ঘটেছে, তা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সব কিছুই যেন তার ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ দুর্ঘটনায় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গিয়েছে ওমির মুখ। কোনও ভাবেই চেনার উপায় নেই তাকে।
ওমির মৃতদেহ শনাক্তকরণের জন্য ডেকে আনা হয় তার বাবা এবং বোনকে। মুখ দেখে কিছুই বোঝা যাবে না। অগত্যা ওমির পায়ের তলায় জন্মদাগ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। কান্নায় ভেঙে পড়ে পিঙ্কি। ছোট জা-কে সামলে মিঠাই। আগলে রাখে তাকে।
(আরও পড়ুন: মিঠাইকে টেক্কা দিতে পুরীতে পৌঁছাল ‘ধুলোকণা’ টিম, ‘লালঝুরি’র ভাগ্য ফিরবে?)
মিঠাইকে গুলি করেছিল ওমি। মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল তাকে। কিন্তু আগরওয়াল পরিবারের দুর্দিনে তাদের পাশে মোদক পরিবার। ছেলের মৃত্যশোকে কাতর মিস্টার আগরওয়ালকে নিয়ে আসা হয়েছে ‘মনোহরা’য়। সবাই মিলে তার দেখাশোনায় ব্যস্ত। পিঙ্কিকে সান্ত্বনা দিচ্ছে নীপা, শ্রীতমা, মিঠাইরা।
এ সবের মাঝেই শেষ হয় রুদ্র-নীপার মান-অভিমানের পালা। ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ স্বামীর জন্য নিজের হাতে কফি করে আনে নীপা। হল্লা পার্টিও আড্ডা জমায়। কিন্তু সিদ্ধার্থ নিশ্চিন্ত হতে পারে না। তার আশঙ্কা, মোদক পরিবারের শত্রু এখনও বেঁচে রয়েছে। দুর্ঘটনায় যে ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, সে আদৌ ওমি নয়। বাকিদের কাছে যদিও তার এই ভাবনা বিশেষ গুরুত্ব পায় না।
(আরও পড়ুন: ‘পুরো জবার ছোট ভাই’! প্লাস দিয়ে ওমির লাগানো বোমার তার কেটে ট্রোলড সিদ্ধার্থ)
কিন্তু সিদ্ধার্থের আশঙ্কাই কি শেষমেশ সত্যি হবে? এই দুর্ঘটনার আড়ালেই কি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে ওমি? নতুন কোনও জাল বুনছে সে? এখন সেটাই দেখার।
For all the latest entertainment News Click Here