দিদি-বোনের মতো সম্পর্ক দুই সন্ধ্যার, একে অপরের খোঁজ নিতেন ফোন করে
সংগীত জগতে নক্ষত্র পতন। মঙ্গলবার রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বিনোদন থেকে বিভিন্ন মহলের অনেকেই শোকপ্রকাশ করেছেন কিংবদন্তি গয়িকার প্রয়াণে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু বড় ধাক্কা প্রবীণ অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়ের কাছে। কঠিন বাস্তবটা কিছুতেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না এই প্রবীণ অভিনেত্রী। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ‘সন্ধ্যা দি’ বলেই ডাকতেন সন্ধ্যা রায়।
‘দিদিভাই আর নেই। কঠিন, কঠোর বাস্তব হলেও এটাই সত্যি। কিন্তু কিছুতেই যে বিশ্বাস করতে পারছি না। চোখের সামনে ভেসে উঠছে একের পর এক স্মৃতি। আর বাড়ছে কষ্ট..’ কিংবদন্তি গায়িকার অন্তর্ধান মেনে নিতে পরছেন না সন্ধ্যা রায়। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বহু গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন প্রবীণ অভিনেত্রী। দু’জনের সম্পর্কও ছিল বেশ মিষ্টি-মধুর।
এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘নায়িকা হিসেবে আমার জীবনের প্রথম ছবি ‘মায়া মৃগ’তে প্লেব্যাক করেছিলেন দিদিভাই। তারপর একসঙ্গে কাজ করেছি একাধিক ছবিতে। এই মুহূর্তে ‘ভ্রান্তিবিলাস’ ছবিটার কথা মনে পড়ছে। ‘বর্ণচোরা’ ছাড়াও ঢুলুবাবুর (অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়) অনেক ছবিতে উনি গান গেয়েছিলেন।’
দিদি-বোনের মতো সম্পর্ক ছিল সংগীত শিল্পী এবং অভিনেত্রীর। ছোটবোনের মতো স্নেহ করতেন, আগলে রাখতেন বলে জানিয়েছেন সন্ধ্যা রায়। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন আগেও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গে নাকি কথা হয়েছিল প্রবীণ অভিনেত্রীর। তাঁর মৃত্যু গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে সন্ধ্যা রায়ের জীবনে। প্রয়াত সংগীত শিল্পী সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘অসম্ভব গুণী মানুষ ছিলেন উনি। তবে বিন্দুমাত্র অহঙ্কার ছিল না। অন্যদের যোগ্য সম্মান দেওয়াই ছিল ওঁর অভ্যাস’।
পুরনো এক ঘটনার কথা বলতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর সন্ধ্যা রায় বলেন, ‘গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমি হাসপাতালে ভর্তি। দিদিভাই তা জানতে পেরে ভীষণভাবে উতলা হয়ে উঠেছিলেন। আমার ভাইকে ফোন করে নিয়মিত খোঁজখবর নিতেন। তারপর বাড়ি ফেরার পর দিদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। মানুষটা আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। এ শূন্যস্থান কখনও পূর্ণ হবে না’।
For all the latest entertainment News Click Here