‘দিদি বলেছিলেন, যা ইচ্ছা পরো’, কেন অস্বস্তিতে পড়েছিলেন শতাব্দী? নিজেই জানালেন
রাজনীতিতে আসার পরে অনেকেই নিজেদের ভাবমূর্তি বদলানোর চেষ্টা করেন। নিজেদের চেহারা থেকে পোশাক— অনেক কিছুই বদলে ফেলেন তাঁরা। এই তালিকায় রয়েছেন বহু ‘প্রাক্তন’ অভিনেতা-অভিনেত্রীই। কিন্তু শতাব্দী রায়ও কি নিজেকে বদলেছেন? সম্প্রতি এক বেসরকারি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই প্রসঙ্গে আলোকপাত করেছেন শতাব্দী রায়। কী বলেছেন তিনি?
সঞ্চালক তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, রাজনীতিতে আসার পরে অনেকেই পুরনো পোশাক আর পরেন না। একেবারে নতুন ধরনের কিছু পোশাক পরা শুরু করেন। বিশএষ করে এ প্রসঙ্গে উঠে এসেছিল অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম। সঞ্চালকরে কথার সূত্র ধরেই শতাব্দী বলেন, কথাটি একেবারেই ঠিক। এমন বহু অভিেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন, যাঁরা রাজনীতিতে আসার পরে নিজেদের পোশাক নির্বাচনে অনেকেটাই বদল এনেছেন।
এর পরে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি নিজেকে কতটা বদলেছেন? এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শতাব্দী একটি পুরনো ঘটনার কথা বলেন। তখন তিনি সদ্য নির্বাচনে জিতেছেন। বলেন, সে সময়ে তাঁর একটি লাল রঙের গাড়ি ছিল। নিজেরই অস্বস্তি হত, জন সাধারণের প্রতিনিধি হিসাবে ওই রকম রঙের একটি গাড়ি নিয়ে ঘুরতে, গাড়ি থেকে নামতে।
সঞ্চালকও তখন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব বিষয়ে অনেকের থেকে আলাদা। তিনি কাউকে বদলাতে চাননি বা কারও পোশাক নিয়ে এ ধরনের কোনও মন্তব্য করেননি। সেই কথার সূত্রে শতাব্দী জানান, গাড়ির রঙের বিষয়টি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটি কোনও সমস্যার বিষয়ই নয়। তখন তিনি শতাব্দীকে বলেন, তাঁর যেমন ইচ্ছা, তেমন রঙের পোশাক পরতে।
শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে এ কথাও বলেছিলেন, নিজের ইচ্ছা মতো পোশাক নির্বাচন করে নিতে। সেই বিষয়েও আলাদা করে কোনও মতামত চাপিয়ে দেওয়া হয়নি অভিনেত্রী এবং রাজনীতিবিদের উপর— সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।
For all the latest entertainment News Click Here