দাদারা ফেল, ওদিকে এনগিডিদের পিটিয়ে ৩৭ ওভারে ৩২১ তুলল ইংল্যান্ড লায়ন্স
হতে পারে নিছক প্রস্তুতি ম্যাচ। তাই বলে আনকোরা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দ্বিতীয় সারির কোনও দলের কাছে এমন অসহায় আত্মসমর্পণ করবে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দল, এমনটা কল্পনা করা কঠিন ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষে। অথচ ঠিক সেটাই ঘটল টনটনে।
জোস বাটলারদের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজের আগে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচে মাঠে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচেই প্রোটিয়া বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন ব্রিটিশ ব্যাটসম্যানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বড় রানের ইনিংস তাড়া করতে নেমে হেসেখেলে জয় তুলে নেয় লায়ন্স।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। জানেমন মালানের সেঞ্চুরি এবং ডেভিড মিলার ও এনরিখ ক্লাসেনের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩১৮ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
ওপেন করতে নেমে মালান ১১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১৬ বলে ১০৩ রান করেন। ডেভিড মিলার ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৫ বলে ৫১ রান করেন ক্লাসেন। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এছাড়া রীজা হেনড্রিক্স ৩৬, এডেন মার্করাম ৩১ রানের যোগদান রাখেন।
আরও পড়ুন:- ICC Ranking: আড়াই বছর পরে হারানো সিংহাসন ফিরে পেলেন বুমরাহ, ফের বিশ্বসেরা জসপ্রীত
ইংল্যান্ড লায়ন্সের হয়ে ডেভিড পেইন ৩৯ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। রেহান আহমেদ ৫৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড লায়ন্স শুরু থেকেই ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকে। তারা মাত্র ৩৭.১ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৩২১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৭৭ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটের বিশাল জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মনোবলে বড়সড় ধাক্কা দেন টম ব্যান্টনরা।
আরও পড়ুন:- পন্ত সুপারহিট, তবুও এজবাস্টনে কেন তাঁকে নেওয়া হল না, সেই নিয়ে হতাশ ঋদ্ধি
উইল স্মিড ৫৬ বলে ৯০ রান করেন। তিনি ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। ব্যান্টন ৪৬ বলে ৫৭ রান করেন। তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। বেন ডাকেট ৬৭ বলে ৮৫ রান করেন। তিনি ১০টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। ৩৬ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন স্টিফেন এস্কিনাজি। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। একমাত্র এনগিদি ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার সব বোলাররা যথেচ্ছ মার খান।
For all the latest Sports News Click Here