দলীপের সেমিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, সব ফরম্যাটে নিজের জমি শক্ত করতে চান মাভি
চলছে, দলীপ ট্রফি। সেখানে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার শিবম মাভি। পশ্চিমাঞ্চলের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে একাই ঘুরিয়ে দিয়েছেন তিনি। ৪৪ রানে ছয় উইকেট দিয়ে নজর কেড়েছেন সবার। জাতীয় দলের হয়ে সব ফরম্যাটে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে এই পারফরম্যান্স অনেকটাই সাহায্য করবে তাঁকে বলে মনে করছেন সকলে।
দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালে পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাটিং লাইনআপ মাভির বোলিংয়ের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। প্রথম ইনিংসে ২২০ রানে গুটিয়ে যায় পশ্চিমাঞ্চলের শক্তিশালী ব্যাটিং। জাতীয় নির্বাচকেরা শিভমের ওপর ভরসা করে সেন্ট্রাল জোনের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেন তাঁকে। নিরাশ করেননি মাভি। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গত তিন-চার বছর ধরে লাল বলে ভালো পারফর্ম করছি। আশা করছি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারব। এটা এমন নয় যে আমি শুধু একটি ফরম্যাটেই খেলতে চাই। তিনটি ফরম্যাটের জন্য আমি প্রস্তুত থাকছি। কঠোর পরিশ্রম করছি।’ সেন্ট্রাল জোনের অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে খুব খুশি। নির্বাচকরা আমাকে এত বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। ভারতে ফাস্ট বোলারদের জন্য নেতৃত্ব দেওয়া কঠিন কারণ এখানে খুব গরম। এই অবস্থার কারণে ফাস্ট বোলাররা তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু বেঙ্গালুরুর আবহাওয়া খুব ভালো। আমরা খুব বেশি ক্লান্ত হচ্ছি না। আমি ইংল্যান্ডে খেলেছি এবং এখানকার আবহাওয়া অনেকটা একই রকম।’
মাভি তাঁর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্স করেছেন নিজের দলের হয়ে। তিনি যে ছয়টি উইকেট নিয়েছেন তাঁর মধ্যে অন্যতম হল চেতেশ্বর পূজারা, সরফরাজ খান ও সূর্যকুমার যাদবের উইকেট। এই তিনজনের আউট হওয়ার ফলেই পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাটিং লাইনে ধস নামে। মাভি তিনটি ইনিংসে নয়টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর সাফল্যের পিছনের রহস্য জানার বিষয় জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বোলিং করার সময় ভাবি না সামনে কোন ব্যাটার রয়েছে। আমি শুধু মনোযোগ দিয়ে নিজের নির্দিষ্ট স্থানে বল করে যাই। আমি জানি, আমি যদি সঠিক জায়গায় বল খেলতে পারি তাহলে উইকেট ঠিক আসবে।’
মাভিকে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে আমদাবাদে টি-টোয়েন্টি খেলার পর মাঠে ফিরতে তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। আইপিএলে গুজরাট টাইটানস দলে থাকা সত্ত্বেও তিনি একটিও ম্যাচ খেলেননি। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটা ম্যাচে নির্বাচিত হবার জন্য কোচ এবং অধিনায়কের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। তবে আমি নেট সেশনকে খুব ভালো করে কাজে লাগিয়েছি। নেটে আমি সাত থেকে আট ওভার বল করেছি। নিজেকে বুঝিয়েছিলাম যে খুব তাড়াতাড়ি আমি সুযোগ পাবো। নিজের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর বেশি নজর দিয়েছি। তবে হ্যাঁ, তিন মাস পরে মাঠে নেমেছি ফলে প্রথম কয়েকটা ওভার বল করতে কিছুটা সমস্যা তো হচ্ছিল। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি।’
For all the latest Sports News Click Here