দলবদলের বাজারেও ‘হারছে’ ইস্টবেঙ্গল, সন্দেশ যাচ্ছেন এফসি গোয়ায়?
শুভব্রত মুখার্জি: এই মুহূর্তে ভারতীয় সিনিয়র ফুটবলে অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার সন্দেশ জিঙ্গান। গত মরশুমেও তিনি খেলেছেন বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে। গত মরশুমে তাদের হয়ে আইএসএলের ফাইনালেও খেলেছেন তিনি। এরপরেই বেঙ্গালুরুর সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে তাঁর। ফলে বর্তমানে ফ্রি ট্রান্সফারে রয়েছেন সন্দেশ। তাঁকে দলে নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী ছিল ইস্টবেঙ্গল এবং এফসি গোয়া দুই দল। তবে শেষ পর্যায়ে ইস্টবেঙ্গলকে টপকে সন্দেশকে সই করাতে চলেছে এফসি গোয়া। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইমামির দল গঠনের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। আর সেই কারণেই নাকি ফ্রি ট্রান্সফারে থাকা সন্দেশ এফসি গোয়াতে আগামী মরশুম খেলার বিষয়ে চূড়ান্ত কথা দিয়ে ফেলেছেন। যে খবরটা স্বাভাবিকভাবেই লাল হলুদ সমর্থকদের জন্য খারাপ খবর বলা যেতেই পারে।
আনোয়ার আলি গোয়া ছেড়ে এটিকে মোহনবাগানে যোগদান করেছেন। চার বছরের চুক্তিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। ফলে আনোয়ারের জায়গায় একজন অভিজ্ঞ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার খুঁজছিল গোয়া। সেই জায়গাতেই এবার খেলবেন সন্দেশ। একাধিক ফুটবলারের সঙ্গে কথা হয়েছিল গোয়ার। তবে শেষ পর্যন্ত ফ্রি ট্রান্সফারে থাকা সন্দেশের সঙ্গেই চুক্তি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফসি গোয়া। সূত্রের যা খবর তাতে করে সামনেই রয়েছে সুপার কাপ। এই সুপার কাপ শেষ হলেই চুক্তির সমস্ত ফর্ম্যালিটি সম্পন্ন করা হবে।
বেঙ্গালুরুর সঙ্গে এক বছরের চুক্তি ছিল সন্দেশের। যা চলতি মরশুমের শেষেই একেবারে শেষ হয়ে যাচ্ছে। বেঙ্গালুরুর সঙ্গে তাঁর চুক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে কথা হচ্ছিল তবে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।তবে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হলেও একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছিল না দুই পক্ষ। মাঝে ইস্টবেঙ্গলও আগ্রহী ছিল। তবে তাঁদের ইনভেস্টরের সঙ্গে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি এখনও। আর এই সুযোগককেই কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করল এফসি গোয়া। ২০২০ সালেও সন্দেশকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল গোয়া। সেই সময়ে কেরল ব্লাস্টার্স ছেড়ে নতুন ক্লাবে আসছিলেন সন্দেশ। ২৯ বছর বয়সি সন্দেশ এই মুহূর্তে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন। এই মরশুমে বেঙ্গালুরুর হয়ে ২৪টি ম্যাচের মধ্যে ২২টি ম্যাচ খেলেছেন সন্দেশ। পরপর দুই মরশুম আইএসএলে ভালো ফল করতে পারেনি গোয়া। এবার সন্দেশকে এনে নক আউট পর্বে যাওয়া নিশ্চিত করতে চাইছে তাঁরা।
For all the latest Sports News Click Here