দখলমুক্ত হল রক্সি সিনেমা, জবরদখলকারীদের দেওয়া হল ফৌজদারি মামলার হুঁশিয়ারি!

অবশেষে দখলমুক্ত হল কলকাতার রক্সি সিনেমা। এতদিন জবরদখল করে রাখা হয়েছিল রক্সি সিনেমার অনেকটা অংশ। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই জবরদখলকারীদের সরিয়ে দখলমুক্ত করা হল রক্সি সিনেমা। এই বিল্ডিংয়ে যত জবরদখলকারী দোকান, ইত্যাদি ছিল সেগুলো সব সিল করে দেওয়া হয়। কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশে এসে এই বাড়িতে থাকা সমস্ত দোকান সিল করে দেয়। জানা গিয়েছে এরপরও যদি কেউ এই বাড়ির ভিতর জোর করে ঢুকতে চান, বা দোকান খুলতে চান তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে এবার আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করা হবে ফৌজদারি মামলা। এমনই নোটিস দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে।

প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর হয়ে সমস্ত ব্যবস্থা করল। সমস্ত অবৈধ দোকান বন্ধ করে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেখানে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে কেউ যদি এই আদেশ না মেনে এখানে ফের প্রবেশ করেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। ফলে বহুদিনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেল রক্সি সিনেমা। দখলমুক্ত হল কলকাতার এই ঐতিহ্যশালী সিনেমা।

নিউ মার্কেট এলাকায় কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা শনিবার দিন একত্রে অভিযান চালায়। তাঁরা গিয়ে এখানে থাকা সমস্ত দোকান সিল করে দেন। এবং জানিয়ে দেন এবার যদি কেউ আবার জোর করে এখানে প্রবেশ করেন বা করতে চান, কিংবা দোকান খোলেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। সেই মর্মে রক্সি সিনেমার গায়ে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিস।

জানা গিয়েছে রক্সি সিনেমার বাড়িটির মধ্যেই মোট ১৩টি দোকান ছিল। সেগুলো সব কটাকে সিল করা হয়েছে। আজ থেকে দুই বছর আগেই ২০২০ এর ১২ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল যে যাঁরা রক্সি সিনেমার মধ্যে দোকান খুলে বসেছেন তাঁরা সকলে জবরদখলকারী। এরপর বিচারপতি সেই জবরদখল মুক্ত করার আদেশ দেন।

কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট তখন নির্দেশ দিলেও মহামারীর জন্য তখন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ এই বাড়িতে যে ১৩টি দোকান ছিল তাদের মালিককে নোটিস দেওয়া হয়, অর্থাৎ এই বাড়ির ৪ এর এ এবং ৪ এর বি-তে থাকা সমস্ত বেআইনি এবং জবরদখলকারী দোকানের মালিকদের নোটিস দেওয়া হয়। সেই নোটিসে সাতদিনের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। এরপর তিনমাস কেটে গিয়েছে। তবুও যখন তারা সরে যায়নি তখন শনিবার, ১০ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার তরফে এই সমস্ত দোকান সিল করে দেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে রক্সি সিনেমার সংস্করণ করা হবে। এরপর সেখানে অফিস বানানো হবে। বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই বাড়ির বাইরেও কিছু রাখা যাবে না। এমনটাই জানা গিয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে।

রক্সি সিনেমা, রক্সি সিনেমা হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে এটি একটি অপেরা হাউজ ছিল। এরপর ১৯৪০ সালে সেটা সিনেমা হল হিসেবে তৈরি হয়। কথিত আছে সুভাষচন্দ্র বসুও নাকি এখানে সিনেমা দেখতে এসেছিলেন। ফলে বুঝতেই পারছেন এই হলের সঙ্গে বাঙালির কতটা আবেগ জড়িয়ে আছে।

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.