থেমে গেল ঐন্দ্রিলার লড়াই, ২৪ বছরের জীবনে কোন কোন কঠিন লড়াই জিততে হয়েছিল তাঁকে
১ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর। টানা ২০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। শেষ পর্যন্ত রবিবার দুপুরে হার মেনে নিলেন তিনি। এই গোটা সময়টায় পরিবারের মানুষ, সব্যসাচী, সহকর্মীরা ছিলেন তাঁর পাশে।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর থেকে তাঁর এই লড়াই সকলকে উৎকণ্ঠায় রেখেছিল ঠিকই, কিন্তু আদতে তাঁর লড়াই শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। কখন কখন লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে?
২০১৫ সালেরজন্মদিনের দিনই অভিনেত্রী প্রথম জানতে পেরেছিলেন, ক্যানসার বাসা বেঁধেছে শরীরে। তখন ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী। অস্থিমজ্জার ক্যানসারে আক্রান্ত হন। শুরু হয় কেমোথেরাপি। দিল্লির এমসে নিয়ে যাওয়া। সেখানেই চলে চিকিৎসা।
তখন চিকিৎসকরা বলেছিলেন, হাতে বেশি দিন নেই। কিন্তু সে কথা ভুল প্রমাণিত করে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান তিনি। দেড় বছর চিকিৎসা চলার পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ঐন্দ্রিলা।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবার অসুস্থ। কাঁধে যন্ত্রণা শুরু হয়। জানা যায়, ডান দিকের ফুসফুসে টিউমার তৈরি হয়েছে। আবার শুরু হয় কেমো। অস্ত্রোপচার নিয়ে ঝুঁকি ছিল। তার পরেও অভিনেত্রী সিদ্ধান্ত নেন অস্ত্রোপচারের। চলে জটিল অস্ত্রোপচার! আবারও সেই যুদ্ধে জয়ী হন তিনি।
এর পর থেকে খানিক সুস্থ ছিলেন বটে। কিন্তু ১ নভেম্বর স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। চলে যান কোমায়। সেই অবস্থাতেই কাটে ২০টি দিন। মাঝে ‘গ্লাসগো কোমা স্কেল’-এ ঐন্দ্রিলার চেতনার মাত্রা ছিল ৫-এর নীচে চলে যায়। দেখা যায় মেটাস্ট্যাটিক ইউয়িংস সারকোমাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
এই রোগ থেকে বাঁছা খুবই কঠিন। তবুও লড়াই চালান ঐন্দ্রিলা। চিকিৎসকদের পাশাপাশি বাড়ির লোকজনের চলতে থাকে লড়াই। কখনও কখনও আশার আলো দেখা দেয়। অস্ত্রোপচারের ১০ দিনের মাথায় ফের মাথার বাঁদিকে স্ট্রোক হয় তাঁর।
ভেন্টিলেশনের মাত্রা বাড়ানো হয়। তার পরেই খবর আসতে থাকে হৃদরোগের। শনিবার রাতে ফের দফায় দফায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ঐন্দ্রিলার। ২০ তারিখ দুপুর ১২ টা ৫৯-এ সব শেষ। প্রয়াত হন অভিনেত্রী। সব লড়াই শেষ।
For all the latest entertainment News Click Here