থানাতেই নাকি খুন-ধর্ষণের হুমকি! আক্রান্ত ‘অপরাজিত’ জিতু এবং তাঁর স্ত্রী নবনীতা
থানার ভিতরেই খুন এবং ধর্ষণের হুমকি! যাঁরা গাড়িতে ধাক্কা মেরেছে, তারাই উলটে চোটপাট করছে। এমনই অভিযোগ তুললেন জিতু কমলের স্ত্রী নবনীতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে খোদ কলকাতাতেই।
কী ঘটেছে ঘটনাটি? নবনীতার বক্তব্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে জিতু এবং তিনি তাঁদের গাড়ি করে নিমতা এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর আগে নাকি নবনীতা রক্ত দিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা মারে একটি পণ্যবাহী গাড়ি। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। নবনীতা-জিতুর গাড়ির চালক প্রতিবাদ করলে, প্রথমে নাকি ওই মালবাহী গাড়ির চালক তাঁকে চাপা দিতে আসে। তার পরে গণ্ডগোলের জেরে দুই পক্ষ নিমতা থানায় যায়। থানাতে প্রথমে নবনীতার গাড়ির চালককে হেনস্থা করতে থাকে পণ্যবাহী গাড়ির লোকজন। নবনীতা সেখানে প্রতিবাদ করতে গেলে, হেনস্থা হয় তাঁরও।
এই ঘটনার বর্ণনা নবনীতা দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি লাইভ ভিডিয়ো করে তিনি ঘটনার বিবরণ দেন। সেখানেই তিনি বলেন, যাঁরা তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে, সেই পণ্যাবাহী গাড়ির লোকজন উলটে তাঁদেরই হুমকি দেয়। এবং সেটিও নাকি পুলিশের সামনেই। গোটা ঘটনাটিই ঘটে নিমতা থানায়।
নবনীতার অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তাঁকের খুনের হুমকি দেওয়া হয়। দেওয়া হয় ধর্ষণের হুমকিও। ভিডিয়োয় নবনীতা কাঁদতে কাঁদতে জানান, তিনি থানা থেকে বেরোতেই ভয় পাচ্ছেন। কারণ তাঁকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, থানা থেকে বেরোলে, নাকি তাঁর উপর অভিযুক্তরা চড়াও হবে।
গোটা ঘটনায় পুলিশ এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নবনীতা। তাঁর দাবি, অভিযুক্তরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। সেই অবস্থায় তাঁরা থানার ভিতরেই হম্বিতম্বি করতে থাকে। এবং পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। উলটে জিতু এবং নবনীতাকেই দীর্ঘ ক্ষণ থানায় বসিয়ে রাখা বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আপাতত এই ঘটনায় পুলিশের তরফে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। ঘটনার জন্য কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়েছে কি না, সে বিষয়েও এখনও পর্যন্ত কোনও আভাস পাওয়া যায়নি।
For all the latest entertainment News Click Here