‘থলথলে বৌদি আফগানিস্তান যাচ্ছেন নাকি?’ এয়ারপোর্টে ছবি পোস্ট করে ট্রোলড শ্রীলেখা
ব্যাগ-পত্তর গুছিয়ে শহর ছাড়লেন শ্রীলেখা মিত্র। মঙ্গলবার রাতে কলকাতা এয়ারপোর্টে থেকে রওনা দিলেন অভিনেত্রী, গন্তব্য ইতালির ভেনিস শহর। গত কয়েকদিন ধরেই ইউরোপ যাত্রা নিয়ে নিজের এক্সাটমেন্টের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী, কখনও শপিং কখনও স্পা-তে গিয়ে ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
মঙ্গলবার বিমানবন্দরের সামনে লাগেজ ট্রলি নিয়ে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ক্যামেরার জন্য পোজ দিয়েছেন শ্রীলেখা। আর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সুইত্জারল্যান্ড চললাম, হ্যাঁ, সুইস অ্যাকাউন্ট খুলতেই খাচ্ছি।’ ইনস্টাগ্রামে এই ছবি পোস্ট করতেই ব্যাপক ট্রোলিংয়ের মুখে পরেন অভিনেত্রী। কেউ লিখেছেন, ‘আমি ভাবলাম আফগানিস্তান যাচ্ছেন, কারণ এ দেশে তো স্বাধীনতা নেই।’ অপর এক নেট নাগরিক লিখলেন, ‘হবে নাকি টুর আফগানিস্থান’! আরও এক নেটিজেন লিখলেন, ‘এখন আফগানিস্তান যান। খেলা হবে গান চলছে ওইখানে।’ একজন ট্রোলার বাম-সমর্থক শ্রীলেখার উদ্দেশে লেখেন, ‘অবাক হবার কিছুই নেই এখন তো সিপিএম আর তৃণমূল এক হয়ে গেছে। সুইস অ্যাকাউন্ট কেনো অনেক কিছুই আর বললাম না’।
তবে সকলে যে অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করেছেন তেমন নয়, অনেকেই শুভ কামনাও জানিয়েছেন এই দীর্ঘ জার্নির জন্য। সুইত্জারল্যান্ড হয়ে ইতালির ভেনিস শহরে পৌঁছাবেন শ্রীলেখা। ভাবছেন কেন হঠাত্ বিদেশে পারি দিলেন অভিনেত্রী? আসলে আদিত্যবিক্রম সেনগুপ্তের ছবি ‘ওয়ান্স আপঅন আ টাইম ইন কলকাতা’ ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পেয়েছে। এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা, সেই কারণেই তাঁর ভেনিস যাত্রা। ২১ বছর পরে বাংলা ছবি আমন্ত্রণ পেয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিনের ৫০০ পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপি ত্যাগী দুই অভিনেতা, অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপা ভট্টাচার্য। সেই নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দেন শ্রীলেখা, সরাসরি দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করবার হুমকি দেন।
বাম সমর্থক অভিনেত্রী সরাসরি ফেসবুকে লেখেন, ‘নিজেকে কমিউনিস্ট বলে উল্লেখ করার মতো সাহস আমার নেই। কিন্তু, আমি বামপন্থী। বাম মতাদর্শে বিশ্বাসী। আমায় কি প্রলোভন দেওয়া হয়নি? এমনকী অন্য দলের থেকে আমায় বিধানসভার টিকিটের প্রস্তাব পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। গ্রহণ করলে আমার জীবনটাও অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু, তা আমি করিনি। বদলে যে মতাদর্শে বিশ্বাস করি, সেখানেই অনড় থেকেছি। CPIM-এর জন্য গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচারে গিয়েছি।আমার ইন্ডাস্ট্রির যে সমস্ত সহকর্মীরা BJP-তে যোগদান করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই মানুষের জন্য কাজ করার নাম করে গিয়েছিলেন। তাঁদের আদর্শ-নীতি আমার জানা নেই। কিন্তু, অনেকেই আবার টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’একজনকে আজ CPIM-এর শ্রমজীবী ক্যান্টিনের অনুষ্ঠানে দেখে আমি অবাক। তাঁদের যদি পার্টি স্থান দেয়, তবে আমি অনেক অপমান আর কষ্টের জায়গা থেকে বলছি, আমি CPIM-এর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করব। এরাই আমাকে গালমন্দ করেছিল একদিন। তাঁদের সঙ্গে একই মঞ্চ ভাগ করা অসম্ভব।’
For all the latest entertainment News Click Here