থমথমে মুখে এনসিবি অফিসে আরিয়ান, জামিনের শর্ত মেনেই হাজিরা শাহরুখ পুত্রের
শুক্রবার প্রত্যাশা মতোই এনসিবির দফতরে হাজির হলেন আরিয়ান খান। মাদককাণ্ডের জামিনের শর্ত হিসাবে প্রতি জু্ম্মা বারে শাহরুখ পুত্রকে এনসিবির ব্যালাড এস্টেটের অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা জানিয়েছে কোর্ট। সেইমতোই এদিন সাদা ফুল স্লিভস টি-শার্ট আর গ্রিন রঙা কার্গো প্যান্টে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনসিবি অফিসে হাজির হয়েছিলেন আরিয়ান। করোনা সর্তকতায় মুখে কালো মাস্ক পরেছিলেন শাহরুখ পু্ত্র।
আরিয়ানের এনসিবি দফতরে হাজিরা দেওয়ার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত শুক্রবার জন্মদিনের দিন মাঝরাত পর্যন্ত এনসিবির বিশেষ তদন্তকারী দলের জেরার মুখে পরেছিলেন আরিয়ান। এক সপ্তাহ পর এদিন ফের দেখা মিলল তারকা পুত্রের।
ভিডিয়োর কমেন্ট বক্সে উপচে পড়ছে আরিয়ানের জন্য সমর্থন। কেউ লিখেছেন, ‘এবার বাচ্চাটাকে দম নিতে দাও, ওর পিছু ছাড়ো’। কেউ আবার লিখেছেন, ‘মনের জোর বজায় রাখো আরিয়ান’।
এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় কুমার সিং-এর নেতৃত্বাধীন সিট গত সপ্তাহে জেরা করে আরিয়ানকে। আরিয়ান মামলা-সহ মুম্বই এনসিবির থেকে মোট ৬টি মাদক মামলার তদন্তভার গিয়েছে এই টিমের হাতে।
আরিয়ান মামলায় তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল মুম্বই এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। বিতর্কের মাঝেই এই মামলার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। গত ২রা অক্টোবর গোয়াগামী প্রমোদতরীতে এনসিবির তল্লাশির সময় আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়নি।কিন্তু তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের কাছে ৬ গ্রাম ড্রাগস পাওয়া গিয়েছিল। আদালতে এনসিবি এর আগে দাবি করেছিল, ‘ওই ড্রাগস আরবাজের কাছে রয়েছে তা জানত আরিয়ান, সেটা ওরা দুজনেই ব্যবহার করত, তাই ওই ড্রাগস আরিয়ানের কাছ থেকে না মিললেও সে সমান দোষী’। পাশাপাশি আরিয়ানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের যোগসাজশ রয়েছে, এমন দাবিও তুলেছিল এনসিবি।
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও সেশন কোর্টে আরিয়ানের জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর গত মাসের ২৮ তারিখ বম্বে হাইকোর্ট একগুচ্ছ শর্তসহ জামিনে রেহাই দেয় আরিয়ানকে। দু-দিন পর ৩০শে অক্টোবর মন্নতে ফেরে শাহরুখ পুত্র। তারপর থেকে ঘরবন্দি অবস্থাতেই রয়েছে সে। শুধু প্রতি শুক্রবার হাজিরা দিচ্ছে এনসিবির দফতরে।
For all the latest entertainment News Click Here