‘তোমায় কখনও ক্ষমা করব না’, ভাইয়ের আত্মহত্যার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় রেমোর স্ত্রী
মুম্বইয়ের যমুনা নগরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রেমো ডিসুজার শ্যালক জেসন ওয়াটকিনসের দেহ। বৃস্পতিবারের ঘটনা। রেমোর শ্যালক জ্যাসন ওয়াটকিনসের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে করে জানিয়েছে, আত্মহত্যা করেছে সে।
বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হতে গোয়ায় গিয়েছিলেন রেমো এবং তাঁর স্ত্রী লিজেল ডিসুজা। সেখানেই ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পান লিজেল। মানসিক ভাবে তিনি ভেঙে পড়েছেন। এ বিষয় ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিজেল জানিয়েছেন ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন। তিনি বলেন, ‘বাবা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন বহু বছর ধরে। হাসপাতালে গিয়েছিলেন ডায়ালিসিস করতে। বাড়ি ফিরে দরজা খুলে দেখে ভাই আর নেই। ও নিজেকে শেষ করে দিয়েছে। আমি জানিনা ও কেন এমনটা করল। ভাই আর বাবা একসঙ্গে থাকত। আমি এই মুহূর্তে বাবার কাছে যাচ্ছি’।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে জেসন ওয়াটকিনসের দেহ। এরপর দ্রুত তাঁকে কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর দেহে কোনওরকম ধ্বস্তাধস্তি কিংবা মারামারির কোনও চিহ্ন নেই।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভাইয়ের ছবি দিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে তাঁকে কোনওদিন ক্ষমা না করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘কেন? কীভাবে তুমি আমার সঙ্গে এটা করতে পারলে? আমি তোমাকে কখনো ক্ষমা করব না’।
কোনও মানসিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে কী যাচ্ছিলেন জেসন? এ বিষয় লিজেল ডিসুজা বলেন, ২০১৮ সালে তাঁদের মায়ের মৃত্যু হয়। এরপরই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে পড়েছিলেন জ্যাসন। মায়ের ভীষণ কাছের ছিল সে। সেই কারণেই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে কিনা, এ বিষয় পুলিশ তদন্ত করছে।
রেমো পরিচালিত ছবিতে সহ পরিচালক হিসাবে কাজ করতেন জেসন। প্রসঙ্গত, জেসনের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সম্ভবত গাঁজা সেবনেও আসক্ত হয়েছিল সে।
For all the latest entertainment News Click Here