তৃতীয় দিনেই লাগেজ গুছিয়েছিলেন সৌরভরা, লক্ষ্মণদের মহাকাব্যে হোটেলে জোটেনি জামা
পাক্কা ২২ বছর আগের একটা দিন। একটা দিনের খেলায় ভারতীয় ক্রিকেট (টেস্ট ক্রিকেট বললেও সম্ভবত ভুল হবে না) পুরোপুরি পালটে গিয়েছিল। কিন্তু সেই ঐতিহাসিক টেস্ট যে ভারত জিততে পারে, সেটা ভাবতে পারেননি খোদ ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররাই। শুধু তাই নয়, চতুর্থ দিনেই ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে ভেবে ব্যাগপত্তর গুছিয়ে বিমানবন্দরে পাঠানোর বন্দোবস্ত ইডেনে এসেছিলেন। কিন্তু রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের সেই মহাকাব্যিক জুটিতে সেদিন ইডেন থেকে আর কলকাতা বিমানবন্দরে যেতে হয়নি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের। তাতে হোটেলে ফিরে বিপত্তি পড়েছিলেন তাঁরা। কারণ তাঁদের কাছে কোনও জামাকাপড় ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে হোটেলে ফিরেও দীর্ঘক্ষণ জার্সি পরেই কাটাতে হয়েছিল বলে ফাঁস করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার হেমাঙ্গ বাদানি।
আরও পড়ুন: দর্শকরা জিতিয়েছিলেন ঐতিহাসিক ইডেন টেস্ট, দ্রাবিড়ের কুর্নিশ কলকাতার সমর্থকদের
২০০১ সালে ইডেন টেস্টের চতুর্থ দিনে লক্ষণ এবং দ্রাবিড়ের সেই মহাকাব্যিক ইনিংসে বর্ষপূর্তিতে বাদানি একটা বড় রহস্য ফাঁস করে দেন। মঙ্গলবার টুইটারে তিনি বলেন, ‘বেশি কেউ এই বিষয়টা জানেন না। তৃতীয় দিনের শেষে আমরা নিজেদের স্যুটকেস গুছিয়ে নিয়েছিলাম। যা সরাসরি বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আর মাঠ থেকে সরাসরি বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা ছিল দলের।’
তবে ২০০১ সালের ১৪ মার্চের সেই বিকেলে ভারতীয় দলকে কলকাতা বিমানবন্দরে যেতে হয়নি। কারণ চতুর্থ দিনটা এক মহাকাব্যের সাক্ষী ছিল ইডেন গার্ডেন্স। সেদিন কোনও উইকেট হারায়নি ভারত। চার উইকেটে ২৫৪ রান নিয়ে শুরু করে দিনের শেষ ভারতের স্কোর দাঁড়িয়েছিল চার উইকেটে ৫৮৯ রান। মার্চের অসহ্য গরমের মধ্যে সারাদিনটা ব্যাট করে অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছেড়েছিলেন লক্ষ্মণ এবং দ্রাবিড়। অথচ পিঠের ব্যথায় কাতর ছিলেন লক্ষ্মণ। জ্বর ছিল দ্রাবিড়। সেই দুই অসুস্থ খেলোয়াড়ের সেই মহাকাব্যিক জুটির উপর ভর করে ফলো-অনের মুখে পড়েও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছিল ভারত। পঞ্চম দিনের শেষলগ্নে একেবারে ম্যাচ জিতে নিয়েছিলেন সৌরভরা।
আরও পড়ুন: WTC Final 2023 IND vs AUS: সৌরভদের স্বপ্নভঙ্গের বদলা নিতে পারবেন রোহিতরা? WTC ফাইনালের দৌলতে ২০ বছর পর এল সুযোগ
দ্রাবিড় এবং লক্ষ্মণের সেই মহাকাব্যিক ৩৭৬ রানের জুটির সৌজন্যে ভারত ঐতিহাসিক টেস্ট জিতলেও চতুর্থ দিনের শেষে হোটেলে ফিরে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন সৌরভ, সচিন তেন্ডুলকররা। বাদানি বলেন, ‘কোনও উইকেট না হারিয়েই ওরা (দ্রাবিড় এবং লক্ষ্মণ) দু’জন দিনভর জাদুগরের মতো ব্যাটিং করেছিল। তারপর আমরা যখন হোটেলে ফিরে গিয়েছিলাম, তখন আমাদের কাছে স্যুটকেস ছিল না। ম্যাচের জার্সি পরে আটকে ছিলাম। প্রায় রাত ন’টা পর্যন্ত সেরকম পরিস্থিতি ছিল। সাদা জার্সি পরেই হোটেলের রেস্তোরাঁয় আমাদের অনেকেই ডিনার সেরেছিলাম।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
For all the latest Sports News Click Here