‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে কষ্ট নাকি?’ কেন ধেয়ে এল প্রশ্ন? কী বললেন ঋত্বিক
দলীয় রাজনীতিতে নেই। তবে তাঁর নিজস্ব রাজনীতি আছে। নিজের কথা বলতে তাই কুন্ঠাবোধ করেন না। এ বারও করলেন না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যখন চারদিক তোলপাড়, তখনই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের কথা মনে করিয়ে দিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী।
দু’টি ছবি, একটি মাত্র বাক্য— স্বল্প কথায় নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন ঋত্বিক। লিখেছেন, ‘এত আমোদের মাঝে যেন ভুলে না যাই যোগ্যতায় যাঁদের শিক্ষক হওয়ার কথা ছিল, তাঁরা ধর্না মঞ্চে অবস্থানকারী পরিচয়ে ৫০০ দিন কাটিয়ে দিলেন’।
এসএসসি কেলেঙ্কারিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়েছে। ইডি-র হেফাজতে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা, প্রচুর গয়না-সহ বিদেশি মুদ্রা।
এক দিকে যেমন দুর্নীতি নিয়ে চর্চা, অন্য দিকে তেমন পার্থ-অর্পিতার ‘রসায়ন’ নিয়ে রগরগে চর্চা, ট্রোল-মিমের বহর। এ সবের মাঝেই নতুন করে চাকরিপ্রার্থীদের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ঋত্বিক। ‘সাহসী’ পদক্ষেপের জন্য ভক্তদের বাহবাও পেয়েছেন।
প্রশংসা যেমন আছে, আছে কটাক্ষ। সরাসরি শাসক দলের নাম না করায় প্রশ্নের মুখে ঋত্বিক। তাঁর পোস্টে জনৈক লিখেছেন, ‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বড় কষ্ট তাই না?’
ক্ষোভ উগরে দিয়ে সেই ব্যক্তি জানান, ঋত্বিককে তিনি শিল্পী বলে গণ্য করেন না। উত্তর দেন অভিনেতাও। খানিক ব্যঙ্গের সুরে লেখেন, ‘হে আমার বিজ্ঞ ভ্রাতা, আপনার থেকে কবে শিল্পী হওয়ার ‘সার্টিফিকেট’ পাব সেই আশাতেই দিন কাটাচ্ছি।
এর পরেও চলতে থাকে বিতর্ক। ধেয়ে আসে একাধিক অভিযোগ। তবে পাশে থাকার জন্য ঋত্বিককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
For all the latest entertainment News Click Here