‘তুমি মায়ের মতোই ভালো’, এটা বলার মতো আমার জীবনে আর কেউ নেই: দিতিপ্রিয়া
দিতিপ্রিয়া রায়, অভিনেত্রী
মায়েদের নিয়ে কিছু বললে কম বলা হয়। আর আমার মা হলেন আমার শিরদাঁড়া। আমার মা-ই আমার সব, আমার বেস্টফ্রেন্ড। আমার মুড সুইং আমার বদমেজাজ থেকে শুরু করে সবকিছুই মা সহ্য করেন। আমার মা আমাকে সহ্য করেন, সেটাই অনেক বড় বিষয়। আর এটা মা আমার জন্মের পর থেকে গত ২১ বছর ধরে করে আসছেন। তাই মাকে নিয়ে যেটাই বলি না কেন, কম বলা হয়।
তবে শুধু ১৪ মে নয়, আমার কাছে রোজই মাদার্স ডে। আমি তো এখনও নিয়মিত মায়ের সঙ্গেই শ্যুটিংয়ে যাই, মাকে ছাড়া আমি অন্ধ। এমনকি আমি যখন সবথেকে বেশি কষ্টে থাকি, দুঃখে থাকি, হয়ত সেটা কেউই বুঝতে পারছেন না, মা ঠিক বুঝে যান। আমি আসলে স্বভাবগত দিক থেকে ভীষণই অন্তর্মুখী, চাপা স্বভাবের, আবার কিছুটা ‘অ্যাংরি বার্ড’ স্বভাবের। তাই যাই ঘটুক, সেটা আমি যদি আমার মধ্যে লুকিয়েও রাখি, তারপরেও মা মুখ দেখলেই বুঝে যান। আমার মনে হয়, শুধু আমার মা নন, পৃথিবীর সব মায়ের মধ্যেই কেমন একটা গোয়েন্দা কাজ করে। যেটা অনেক বড় বড় গোয়েন্দাদেরও হারিয়ে দিতে পারে। আর আমার মা তো ভয়ানক, আমাকে দেখলেই বুঝে যান আমার মধ্যে কী চলছে! যেটা একটা সত্য়িউ বড় বিষয়। আরেকটু ছোট বয়সে মনে হত, এটা খুব বিরক্তিকর, মা সব বুঝে যায়, তবে এখন কোথাও গিয়ে সেটাই আমার কাছে অনেক শান্তির। কোথাও আমায় কিছুই বলতে হয় না, একটা শব্দও উচ্চরণ করতে হয় না, তাও মা বোঝেন। আর আমাদের মা-মেয়ের সম্পর্কে এটাই সবথেকে সুন্দর বিষয়।
![<p>মায়ের সঙ্গে দিতিপ্রিয়া</p> <p>মায়ের সঙ্গে দিতিপ্রিয়া</p>](https://images.hindustantimes.com/bangla/img/2023/05/14/600x338/774744_1684054459261_1684054503440.jpg)
মায়ের সঙ্গে দিতিপ্রিয়া
মায়ের মতো ভালোবাসা বোধহয় আর কোথাও পাওয়া যায় না, আর ভালোবাসা শব্দটি ও এর অর্থ আমি মায়ের থেকেই শিখেছি। আমার প্রথম ভালোবাসা আমার মা, তারপর বাবা। বাবাও ভীষণ কিউট, তবে মায়ের জায়গা আমার কাছে কিছুটা বেশি। আমি তো বেশিরভাগ সময়ই মায়ের সঙ্গেই কাটাই, শ্যুটিংয়ে গেলেও মা যান, তবে যদি কখনও বাইরে যাই বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা কিছুদূরে, তখন মাকে ভীষণ মিস করতে থাকি। মনে হয় একটু মাকে মেসেজ করে, ফোন করে জানাই কী চলছে, কী খাচ্চি। হয়ত কিছু ভালো দেখলাম বা খেলাম, তখন মনে হয় এবাবা, মা এটা মিস করে গেলেন…মা, এখানে থাকলে ভালো হত। আমি আজ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যা কিছু পেয়েছি বা করেছি, সবটাই মায়ের সমর্থনে। আমার মনে হয়, মা মায়ের জীবনটা অনেক আগেই আমার জন্য বিসর্জন দিয়ে দিয়েছেন। প্রথম থেকেই মা আমার সঙ্গে সঙ্গে শ্যুটিং স্পটে থেকেছেন, ঘুরেছেন। আমাকে তৈরি করার জন্য জীবনের সমস্ত পরিশ্রম দিয়ে দিয়েছেন। আজ আমি যেখানে তাতে মায়ের যে কী অবদান, তা কখনও ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি যদিও এটার জন্য কখনও কৃতজ্ঞ, ধন্যবাদ কিছুই বলতে চাই না, কারণ সেটা অনেক কম হয়ে যায়। অনেকে হয়ত মাদার্স ডে বললে নস্টালজিক হয়ে পড়েন, আর আমি মায়ের কথা বললেই নস্টালজিক হয়ে যাই। মাকে ছাড়া কোনওদিনই শ্যুটিং গেলে হয়ত আমি পালিয়েও আসতে পারি, কারণ আমার মাথার একটু গণ্ডোগোল আছে (মজা করে), যেটা মা-ই একমাত্র সামলাতে পারেন। ‘তুমি মায়ের মতোই ভালো’ এটা বলার মতো আমার জীবনে আর কেউ নেই।
For all the latest entertainment News Click Here