তীব্র গালিগালাজ, রাস্তায় ফেলে পেটানো হল, হাসপাতালে হিরো আলম
ভোটে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া তারকা হিরো আলম। সোমবার ভোটকেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়েই কপালে জুটল বেধড়ক মারধর। জখম হিরো আলমকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। ১৭ জুলাই সোমবার দুপুরে ঢাকার বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। কিছু অনুরাগী এসে সেখানে তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলেন। অভিযোগ তখনই নাকি কয়েকজন এসে তাঁকে বলেন ‘এটা টিকটক ভিডিয়ো করার জায়গা নয়। এটা ভোটকেন্দ্র, এটা গুলশান-বনানী’। এরপরই সেখানে হিরো আলমের উপর হামলা করা হয়। অভিযোগ, হামলাকারীদের গলায় ‘নৌকা’ প্রতীকের ব্যাজ ঝুলতে দেখা গিয়েছে৷
অভিযোগ, নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকেরা পেছন থেকে হিরো আলমকে উদ্দেশ্য করে গালমন্দ করতে থাকেন। তাঁকে ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়৷ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের দরজার বাইরে নিয়ে যান৷ তখনও তাঁর পিছু নেন উত্তেজিত নেতাকর্মীরা৷
আরও পড়ুন-পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, প্রতিমাসেই হাসপাতালে ভর্তি হতাম! লড়াই করেও স্বপ্ন দেখেছি: সেলিনা
আরও পড়ুন-হোটেলে ডেকে, আমার পানীয়তে মাদক মিশিয়ে দেন এক পরিচালক’ বিস্ফোরক রতন রাজপুত
এদিকে স্কুলের প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়ার পর হিরো আলমের পাশে পুলিশ কর্মীরা আর ছিলেন না৷ তিনি তখন সোজা ১৬ নম্বর সড়কের দিকে দ্রুত এগোতে থাকেন। তারপর একটা সময় বিক্ষুব্ধরা হিরো আলমকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন, তারপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়৷
প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, মারধর থেকে বাঁচতে কোনওরকমে ঘটনাস্থল ছাড়েন হিরো আলম। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা তখন তাঁকে পিছন থেকে ধাওয়া করেন৷ শেষপর্যন্ত বনানীর ২৩ নম্বর সড়কে গিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন হিরো আলম৷ পরে বিক্ষুব্ধরা সেখানে পৌঁছালে গাড়িতে করে চলে যান তিনি।
প্রসঙ্গত সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ শুরু হয় ৷ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনটি। মোট ভোটকেন্দ্র আছে ১২৫টি এবং ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ২০৫ জন৷ এই আসনের সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনের ৫ মাস আগে এই উপনির্বাচন হচ্ছে৷
এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোট ৮ জন৷ তাঁদের মধ্যে দলীয় প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লিগের মোহম্মদ আলি আরাফাত, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির প্রার্থী কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের প্রার্থী মো. আকবর হোসেন৷
For all the latest entertainment News Click Here