তিন প্রধানকে অনন্য সম্মান! তিন ক্লাবের নামে শিলিগুড়ির রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে
শুভব্রত মুখার্জি: কলকাতা ফুটবল তো বটেই ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসেও তিন ঐতিহ্যশালী নাম মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডান। ময়দানের এই তিন বড় ক্লাবের ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসে যা অবদান তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। এবার ময়দানের এই তিন প্রধানকে অনন্য উপায়ে সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি পৌরসভার তরফে। শিলিগুড়ির তিন বড় রাস্তার নাম এবার হতে চলেছে কলকাতা ময়দানের তিন বড় ক্লাবের নামে। মঙ্গলবার নিশ্চিত করা হয়েছে খবরটি।
বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ি পৌরসভার পুরবোর্ডের বৈঠকের পর বিস্তারিত ভাবে শিলিগুড়ি পৌরসভার তরফে এটি জানানো হবে। কথিত আছে উত্তরবঙ্গের এই শহরে কলকাতা ময়দানের বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তবে শিলিগুড়িতে চিরাচরিত ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক বেশি থাকলেও মোহনবাগান এবং মহমেডান ক্লাবকেও কিন্তু তারা সম্মান জানাতে ভুলছে না। খাস কলকাতার ক্লাব হওয়া সত্ত্বেও শহর কলকাতার বুকেই তাদের নামে নেই কোনও রাস্তা। সেখানে শিলিগুড়ি পৌরসভার এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
শিলিগুড়ির ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের তরফে আগেই সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল শিলিগুড়ি শহরে ক্রীড়া সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবং পরিকাঠামো উন্নত করার লক্ষ্যেই তাদের তরফে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন এই তিন ক্লাবই ভারতবর্ষের সবথেকে জনপ্রিয় ক্লাব। আমাদের এখানেও এই তিন ক্লাবের প্রচুর সমর্থক রয়েছেন। তাদের আবেগ এবং ভারতীয় ফুটবলের এই তিন স্তম্ভকে সম্মান জানাতেই তাদের এই অভিনব সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন… প্রথমবার ক্লাবে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়! সেজে উঠেছে মোহনবাগান তাঁবু
কোন কোন রাস্তার নাম কলকাতার তিন প্রধানের নামে হবে তা জানানো হয়নি। পুরবোর্ডের বৈঠকে সরকারি ভাবে এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে। পাশাপাশি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে তিন প্রধানের ম্যাচও আয়োজন করতে আগ্রহী পৌরসভা। সেই কারণে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম সংস্কার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে এখানে। ২৭০০০ দর্শকাসন বিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামে নেহরু গোল্ড কাপের মতো প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে। সেই কারণেই অতীতের গৌরবকে ফেরাতে এবং ফুটবলের উন্নতিতেই এই অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিলিগুড়ি পৌরসভা।
For all the latest Sports News Click Here