তালিবানি অত্যাচারের প্রতিবাদ, আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজ বাতিল করল অস্ট্রেলিয়া
সম্প্রতি আফগানিস্তানের মেয়েদের পড়াশোনা এবং চাকরি করার ক্ষেত্রে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া। আর এর প্রতিবাদেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ বাতিল করে দিল অজিরা।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ২০২৩ সালের মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, তালিবানরা মেয়েদের শিক্ষা এবং চাকরিতে আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণেই তারা মার্চে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) সিরিজ বাতিল করছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিএ আফগানিস্তান সহ সারা বিশ্বে নারী এবং পুরুষদের জন্য খেলার বিকাশে সহায়তা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের নারী ও মেয়েদের উন্নতির জন্য আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে জড়িত থাকবে সিএ। এই বিষয়ে সমর্থনের জন্য আমরা অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: IPL খেলবেন না পন্ত, DC শীঘ্রই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করবে- সাফ জানালেন সৌরভ
আইসিসি ওডিআই সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকায় কিন্তু এতে ধাক্কা খাবে অস্ট্রেলিয়া। এবং প্রতিযোগিতার পুরো ৩০ পয়েন্ট আফগানিস্তানকে দেওয়া হবে। এটি অবশ্য অজিদের জন্য সামান্য উদ্বেগের বিষয় হবে। কারণ তারা ইতিমধ্যেই অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত ওডিআই বিশ্বকাপের সুপার লিগের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ আটটি দেশের মধ্যে থেকে যোগ্যতা অর্জন করেছে।
ওয়ানডে সুপার লিগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পরেও বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু ওডিআই ম্যাচ খেলবে। তারা চার টেস্টের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পর, ভারতের বিরুদ্ধে তিনটি ওডিআই-ও খেলবে। এ ছাড়াও অগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচটি এবং অক্টোবরে বিশ্বকাপের ঠিক আগে ভারতে আরও তিনটি ওডিআই খেলবে।
আরও পড়ুন: এ রকম ইনিংস খেলতে ভাগ্যের সাহায্য প্রয়োজন- তাঁর ক্যাচ মিস নিয়ে সোজাসাপ্টা কোহলি
এ দিকে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণা করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বুধবার তারা যে ১৮ জনের দল ঘোষণা করেছে, তাতে রয়েছে চমক। অভিজ্ঞ ব্যাটার পিটার হ্যান্ডসকম্বকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে দলে। পাশাপাশি দেশের হয়ে প্রথম বার খেলার সুযোগ পেতে চলেছেন দুই ক্রিকেটার। মোট চার জন স্পিনার এবং ছ’জন জোরে বোলার নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে আসছে অস্ট্রেলিয়া। প্রত্যাশিত ভাবেই প্রথম টেস্টে পাওয়া যাবে না মিচেল স্টার্ককে। অনিশ্চিত ক্যামেরন গ্রিনও।
দলে নেওয়া হয়েছে তরুণ স্পিনার টড মারফিকে। পাশাপাশি বিকল্প পেসার হিসাবে রেখে দেওয়া হয়েছে ল্যান্স মরিসকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে একটিও উইকেট না পাওয়া অ্যাশটন অ্যাগারও নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন। ভারতে সাফল্য থাকা সত্ত্বেও নেওয়া হয়নি অ্যাডাম জাম্পাকে। পেস বিভাগে জায়গা ধরে রেখেছেন জস হ্যাজেলউড। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, স্কট বোলান্ড, মরিস হলেও পেস বিভাগের বাকিরা। স্পিন বিভাগে মিচেল সোয়েপসনও রয়েছেন।
For all the latest Sports News Click Here