তাঁর বিপক্ষে গিয়ে কি নন-স্ট্রাইকারকে রান-আউটের চেষ্টা হার্ষালের? মুখ খুললেন ফাফ
লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ২১২ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আরসিবির তিন ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, ফাফ ডু’প্লেসি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে উড়ে যায় লখনউয়ের বোলাররা। বেঙ্গালুরুতে উপস্থিত আরসিবির সমর্থকরা কল্পনাও করতে পারেনি ম্যাচ হেরে বাড়ি ফিরতে হবে তাদের।
সুপার জায়ান্টসের আক্রমণাত্মক দুই ক্রিকেটার নিকোলাস পুরান ও মার্কাস স্টোইনিসের দুরন্ত অর্ধশতরানের পর খেলা সম্পূর্ণ ভাবে লখনউয়ের পক্ষে ঘুরে যায়। ক্রিকেট যে শেষ বলের খেলা তা ফের প্রমাণ পেল। খেলা তখন প্রায় লখনউর হাতের মুঠোয়। তখন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হিট উইকেট হয়ে আউট হয়ে যান আয়ুষ বাদোনি। আয়ুষের আউট খেলাকে শেষ বল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। তখন ম্যাচ জিততে আরসিবিকে এক রান বাঁচাতে হবে। কিন্তু দুটি রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করে আরসিবি। তার মধ্যে একটি ছিল রবি বিষ্ণোইকে আউট করার সুযোগ হাতছাড়া। খেলার শেষে সেই কথা প্রকাশ করলেন বাঙ্গালোর অধিনায়ক ফাফ ডু’প্লেসি।
শেষ ওভারের দুই বলে সুপার জায়ান্টসদের জিততে দরকার ১ রান। কিন্তু ক্লাইম্যাক্স তখনও বাকি। আউট হয়ে যান জয়দেব উনাদকাট। দরকার ১ বলে ১ রান । সব ফিল্ডারকে কাছে নিয়ে চলে আসেন অধিনায়ক ফাফ। এক হাতের গ্লাভস খুলে ফেলেন উইকেরক্ষক দীনেশ কার্তিক। কিন্তু বোলার হার্ষালের পরিকল্পনা ছিল অন্য। তিনি খেয়াল করেছেন ওভারের প্রতিটি ডেলিভারির আগে নন স্ট্রাইকার এন্ডে দাঁড়িয়ে থাকা রবি বিষ্ণোই ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই তিনি তাকে মানকাডিং করার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সব ঠিক ঠাক ছিল। ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে যান রবি, কিন্তু শুরুতে বল উইকেটে লাগাননি হর্ষল। তিনি এগিয়ে গিয়ে বল ছুড়ে মারেন উইকেটে। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেননি। নিয়ম অনুযায়ী ৩৮.৩.১.২ ধারা অনুসারে মানকাডিং আউট করতে গেলে বোলারকে ক্রিজের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে উইকেটে বল লাগাতে হবে। সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর নন স্ট্রাইকার স্টাম্পের বাইরে থাকলেও উইকেটে বল লাগলে তা আউট হিসাবে পরিগণিত করা হবে না। যদি হার্ষাল প্রথমেই স্টাম্প ভেঙে দিতেন, তাহলে আউট হয়ে যেতেন বিষ্ণোই।
ফাফ জানান, তারা মানকাডিং আউটের আশা করেছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওরা ম্যাচের মাঝের ওভারে খুব ভালো ব্যাট করেছে। আমরা মানকাডিং আউটের চেষ্টাও করেছিলাম কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের সব অস্ত্র দিয়ে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের বোলারদের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে ব্যাটাররা। পিচেরর দিকে তাকালে দেখা যাবে, শুরুর দিকে কিছুটা শ্লথ ছিল। পরের দিকে ব্যাটে ভালো বল আসে।’ ইনিংসের শেষ বলটি লখনউয়ের ব্যাটার ব্যাটে বল না লাগাতে পারলেও, দৌড়ে রান নিয়ে নেন তারা। দীনেশ কার্তিক রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করেন।
(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl )
For all the latest Sports News Click Here