তাঁর অধিনায়কত্বেই মোহনবাগানকে ৫ বার লিগ জিততে দেয়নি ইস্টবেঙ্গল, প্রয়াত সেই তারকা
ফের বাংলার ফুটবলে নক্ষত্র পতন। প্রয়াত হলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন অধিনায়ক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্য জনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। আর এই কারণেই তিনি বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীনও ছিলেন। সেই বেসরকারি হাসপাতালেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন।
চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৪ সালে প্রথম মিলন সমিতিতে সই করেছিলেন। তারপরের বছরই তিনি যান ভবানীপুর ক্লাবে। আর সেখান থেকে তিনি জর্জ টেলিগ্রাফে সই করেন। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জর্জের হয়ে নজর কেড়েছিলেন চন্দন। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার। অবশেষে তাঁর সেই স্বপ্নপূরণ হয় ১৯৬৩ সালে। সেই মরশুমেই তিনি লাল-হলুদ শিবিরে যোগ দেন।
তিন বছর ধরে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার পরে ১৯৬৬ সালে তাঁকে অধিনায়ক করা হয়। অধিনায়ক হওয়ার পরই তাঁর হাত ধরে ইস্টবেঙ্গল লিগ খেতাব জিতেছিল। এর আগে টানা চার বছর লিগ জেতে মোহনবাগান। তাদের পঞ্চমবার লিগ জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ করেন চন্দনের অধিনায়কত্বে খেলা ইস্টবেঙ্গল। চন্দনের নেতৃত্বে খেলেন প্রশান্ত সিনহা, অরুণ ঘোষ, সুকুমার সমাজপতি, রাম বাহাদুর, শ্যাম থাপারা। লাল-হলুদ সমর্থকদের থেকে শুরু করে দলের ফুটবলারদের কাছে খুবই প্রিয় মানুষ ছিলেন চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তাঁর হৃদয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। পাশাপাশি ২০১৫ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে তাঁকে জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া হয়।
চন্দন বাবুর মৃত্যুতে ইস্টবেঙ্গলের ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানানো হয়েছে। আজ সাড়ে এগারোটায় চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। সেখানে সকলেই তাঁকে শেষ সম্মান জানান। এমনকী প্রিয় অধিনায়ককে শেষ বিদায় জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন সমর্থকরাও। ভক্তরাও সম্মান জানান তার প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ককে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সহ কলকাতার ফুটবল মহলে। প্রাক্তন ফুটবলার মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারাও। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ক্লাবে উপস্থিত হন শ্যাম থাপা, বিশ্বজিত ভট্টাচার্যরা।
For all the latest Sports News Click Here