তড়িঘড়ি একানার পিচ সংস্কার BCCI-এর, সেই কারণেই কি লখনউয়ে মন্থর উইকেটের সমস্যা?
শুভব্রত মুখার্জি: চলতি আইপিএলে কেএল রাহুলের নেতৃত্বাধীন লখনউ সুপার জায়ান্টস দল তাদের হোম ম্যাচগুলো খেলছে লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে। এই ২২ গজেই সুপার জায়ান্ট তাদের শেষ ম্যাচ খেলেছে। সেই ম্যাচেও খুব কম রানই উঠেছিল। সেই ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে লখনউ প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৪ ওভারে ১২৫ রান করে। এর পর বৃষ্টির জন্য খেলাটি ভেস্তে যায়। এর আগের ম্যাচটিও ছিল লো-স্কোরিং। সেই ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের দেওয়া ১২৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ম্যাচটি ১৮ রানে হেরে যায় লখনউ।
এমন আবহে দাঁড়িয়ে লখনউয়ের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে একানার ২২ গজ! তবে এর জন্য অনেকেই আবার দায়ি করেছেন বিসিসিআই-কে। আইপিএল শুরুর আগে তড়িঘড়ি একানার পিচ তৈরি করেছে বিসিসিআই। ফলে পিচ তৈরির উপযুক্ত সময় ২২ গজকে না দেওয়ার ফলেই এখন একানার পিচ স্লো, লো এবং ঘূর্ণি পিচে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিতেও পয়েন্ট টেবলের উপরে উঠতে পারল না KKR, শীর্ষে GT, লাস্টবয় সৌরভের DC
আর এর ফলে আইপিএলের বাকি ভেন্যুগুলোতে যখন রানের বন্যা বইছে, ঠিক তখন একানার ২২ গজে সিঙ্গেলস নেওয়াটাই খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। এই উইকেটে শেষ ম্যাচের আগের ম্যাচে আরসিবি ৭ উইকেটে ১২৬ তুলেছিল। যে রান তাড়া করে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় সুপার জায়ান্টস দল। তারপর থেকেই একানার ২২ গজ আরও বেশি করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। সমস্যার সূত্রপাত কিন্তু আইপিএলে নয়। এর আগে জানুয়ারি মাসে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড টি-২০ সিরিজের সময় থেকে। সেই সিরিজের একটি ম্যাচ খেলা হয় এই ২২ গজে। সেখানেই প্রথম দেখা যায় উইকেট কতটা মন্থর!
আরও পড়ুন: ODI WC- ফাইনাল ছাড়া ভারত-পাক ম্যাচ পেতে পারে আমদাবাদ, ইডেনের ভাগ্যে কী জুটছে?
এর পরেই ফেব্রুয়ারি মাসে বিসিসিআই-এর পিচ কিউরেটররা এই ২২ গজের দায়িত্ব নিয়ে আমূল সংস্কারে নামেন। আইপিএল শুরু হওয়ার আগে হাতে ৫০ দিন ছিল এই পিচ সংস্কারের। উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তাদের পিচ প্রস্তুতকারক সুরেন্দর কুমারকে ব্যান করা হয়। ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ওই পিচে ১০০ রান তুলতেই হিমশিম খেতে হয়েছিল দুই দলকে। বিসিসিআইয়ের তরফে পিচের স্কোয়ারে নতুন করে ঘাস গজানোর কাজ শুরু করা হয়।
এত কম সময়ের মধ্যে এটা করা হয়েছে। যার ফলে কার্যত হিতে বিপরীত হয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে পিচ এখনও ‘অপ্রস্তুত’ রয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফে। নতুন করে ঘাস গজানোর পরে ছয় সপ্তাহ লাগে একটা পিচকে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হতে। কিন্তু কাজের বরাত দেওয়ার পরে বিসিসিআইয়ের তরফে সেই কাজ ভালো করে দেখা হয়নি। যার ফলে আইপিএলে যতদিন যাচ্ছে পিচ নিয়ে সমস্যায় পড়ছে লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের।
For all the latest Sports News Click Here