তখন অস্কার নিচ্ছেন গীতিকার স্বামী চন্দ্রোবোস, অঝোরে কাঁদলেন স্ত্রী সুচিত্রা
টিভির পর্দায় সম্প্রচারিত হচ্ছিল ৯৫তম অস্কার অ্যাওয়ার্ড। আর মঞ্চে তখন ‘নাটু নাটু’র জন্য পুরস্কার নিতে উঠেছিলেন সেই দুই সৃষ্টিকর্তা। একজন ‘নাটু নাটু’র গীতিকার, অপরজন সুরকার অর্থাৎ চন্দ্রবোস ও এম এম কিরাবানি। নাম ঘোষণা হতেই অস্কার অনুষ্ঠানে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ছবির তারকারা। অনুষ্ঠানে ছিলেন না, তবে বাড়িতে বসেই তাই টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন, গীতিকার চন্দ্রবোসের স্ত্রী সুচিত্রা আনন্দ। নাম নাম ঘোষণা হতেই তাঁর চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ল আনন্দাশ্রু। টিভির সামনে দাঁড়িয়েই হাততালি দিয়ে উঠলেন।
সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অস্কারজয়ী গীতিকার চন্দ্রবোসের স্ত্রী সুচিত্রা আনন্দের সেই আবেগঘন ভিডিয়ো। সংবাদ সংস্থা PTI-এর তরফে পোস্ট করা হয়েছে সেই ভিডিয়ো। সুচিত্রা আনন্দ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমি এসএস রাজামৌলি স্যার এবং তার স্ত্রী এবং কিরাভানি গারুকে ধন্যবাদ জানাই বোসকে এই গানটি লেখার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’ চন্দ্রবোসের মেয়ে অমরুতাও আজ তাঁর বাবার জন্য গর্বিত। বলেন, ‘এটি একটি অদ্ভূত অনুভূতি। আমি আমার বাবার জন্য অত্যন্ত গর্বিত’।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, সেরা অরিজিনাল গান হিসাবে কঠিন প্রতিপক্ষকে হারিয়ে অস্কার জিতে নিয়েছে চন্দ্রবোস ও কিরাবানির তৈরি ‘নাটু নাটু’। এই গানের প্রতিপক্ষ ছিল টপ গান: ম্যাভেরিক ছবিতে লেডি গাগার গাওয়া ‘হোল্ড মাই হ্যান্ড’, ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরএভার ছবিতে রিহানার গাওয়া ‘লিফট মি আপ’। এদিকে অস্কার নিতে একসঙ্গেই মঞ্চে উঠেছিলেন গীতিকার চন্দ্রবোস, ও এএম কিরাবানি। সুরকার কথা বললেও, গীতিকার চন্দ্রবোসকে মঞ্চে চুপচাপ থাকতেই দেখা যায়।
মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এম এম কিরাবানি বলেন, ‘ধন্যবাদ অ্যাকাডেমি। ছোট থেকে কার্পেন্টার্সের (মার্কিন গানের ব্যান্ড) গান শুনে বড় হয়েছি, আর এখন অস্কার হাতে দাঁড়িয়ে’।
For all the latest entertainment News Click Here