ড্রেসিং রুম নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড ‘সেহাজ জল’-এ, মেগা ছাড়ার কথাও ভেবেছিলেন অভিনেত্রী
সবেই শুরু হল ‘সোহাগ জল’। ধারাবাহিকের বয়স একমাস হওয়ার আগেই বড় বিতর্কে এই ধারাবাহিক। ড্রেসিংরুম নিয়ে ঝামেলা লেগে গিয়েছে টলিউডেরই দুই সিনিয়র অভিনেত্রীর মধ্যে। আপাতত তা নিয়েই সরগরম টলিপাড়া।
ঝামেলা লেগেছে পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায় আর সঙ্ঘমিত্রা ভট্টাচার্যর মধ্যে। সঙ্ঘমিত্রা ওরফে কুমকুমের দাবি তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে পুষ্পিতা। ২দিন একসঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করার পর হঠাৎই তাঁরপ সঙ্গে মেকআপ রুম ব্যবহার করবে না বলে জানায়। ফলে তাঁকে হয়রানির শিকার হতে হয়। এতটাই আঘাত পান মনে সঙ্ঘমিত্রা যে মেয়েকে ফোন করে কেঁদে ফেলেন। এমনকী, শ্যুট ছাড়ার কথাও একবার মাথায় এসেছিল।
ডিজিটাল মিডিয়াকে সঙ্ঘমিত্রা জানিয়েছেন, ‘প্রথম দু দিন টেম্পোরারি সেটে যখন কাজ হয় ও আর আমি একসঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করি। আমরা আড্ডাও মারি একসঙ্গে। তারপর যখন নারায়ণী স্টুডিয়োতে এলাম প্রথমদিন কাজে আমাকে একটা রুম দেওয়া হল, বলল পুস্পিতার সঙ্গেই আমি রুম শেয়ার করব। আমি তৈরি। এমন সময় পুষ্পিতা এল। মেকআপ নিতেও ঢুকল। হঠাৎ দেখি একজন স্পটবয় এসে আমার ব্যাগপত্তর নিয়ে চলে যাচ্ছে। জানলাম আমাকে অন্য মেকআপ রুম দেওয়া হবে। পরে জানলাম পুষ্পিতা নাকি আমার সঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করতে চায়নি। শুনেই চোখে জল চলে এসেছিল। মেয়েকে ফোন করে বলেছিলাম। ও তো শুনেই বলল তোমাকে আর কাজ করতে হবে না, বাড়ি চলে আসো।’
এদিকে একথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়তেই মুখ খুলেছেন পুষ্পিতা। তিনি মিডিয়াকে জানিয়েছেন তাঁর জীবনে এখন একগাদা নেগেটিভিটি। তাই চান না সেটা কারও মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। তাই সোহাগ জলের নির্মাতাদের নাকি আগে থেকেই অনুরোধ করে রেখেছিলেন যাতে তাঁকে আলাদা থাকার সুযোগ দেওয়া হয়।
এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে পুষ্পিতা জানালেন, ‘আমার দুবার করোনা হয়েছে। ফুসফুসের অবস্থা খুবই খারাপ। তাই পারিশ্রমিকের ব্যাপারে কথা বলার আগেই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কথা বলি আলাদা মেকআপ রুম দেওয়া নিয়ে। এ ক্ষেত্রেও আমি কুমকুমদিকে কিছুই বলিনি। প্রযোজক সংস্থার এক সদস্যকে বলেছিলাম আলাদা ঘর হলে ভাল হয়। তখন সে কুসুমদিকে আলাদা একটা ঘর দেয়। হঠাৎ দেখি এসব শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য, ভিউ বাড়ানোর জন্য এসব করা হচ্ছে।’
For all the latest entertainment News Click Here