ডিভোর্সি পুরুষের সঙ্গে অহনার প্রেমে আপত্তি মায়ের,‘কারও সংসার ভাঙিনি’,বলছেন মিশকা
‘রিয়েল লাইফে আমি ভিলেন নই, আমার অনুরাগীরা যেন আমায় ভুল না বোঝে’, সোমবার হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে একথা জানিয়েছিলেন অহনা দত্ত। বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ অহনা। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র মিশকা হিসাবে আট থেকে আশির মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এমন সুন্দরী ভিলেনে চোখ আটকে যায় সকলের। দু-দিন আগে ছিল অহনার জন্মদিন। চলতি বছর জন্মদিনটা সোনাঝুরিতে কাটিয়েছেন অহনা, সঙ্গী তাঁর প্রেমিক দীপঙ্কর দে।
জন্মদিনের দিনেই আচমকা বিতর্কে নাম জড়িয়েছে অহনার। সৌজন্যে তাঁর মা চাঁদনি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক পোস্ট। যেখানে দীপঙ্কর দে-র নামে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন অহনার মা। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র রূপটান শিল্পী দীপঙ্কর। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকেই নাকি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না অহনা, অভিযোগ মায়ের। দীপঙ্কর ‘বিবাহিত’ সেই তথ্যও সামনে আনেন অহনার মা। মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে দীপঙ্করের প্রথম স্ত্রী পারোমিতার একটি স্টেটাস শেয়ার করেন চাঁদনি, সেই নিয়ে নতুন করে শুরু বিতর্ক।
টেলিপাড়ায় ফিসফিসানি পারোমিতার সঙ্গে সংসার ভাঙার পর অপর এক অভিনত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন দীপঙ্কর। কানাঘুষো শোনা যায় বিয়েও করেছিলেন তাঁরা কিন্তু টেকেনি দাম্পত্য। এমন ছেলের সঙ্গে অহনার সম্পর্কে ঘোর আপত্তি মায়ের। দীপঙ্করের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কের কথা সোমবার এড়িয়ে গেলেও এদিন সবটা স্বীকার করে নেন মিশকা। আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি কারও সংসার ভাঙিনি। যাঁর সঙ্গে আমি প্রেমের সম্পর্কে আছি, তাঁর বহু দিন হল আইনি বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তা হলে কী করে আমি কারও ঘর ভাঙব। আমার প্রেমটা মা মেনে নিতে পারেননি বলে এ কথা বলছেন।’
সবে ২০-তে পা দিয়েছেন অহনা। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’তে কাজ পাওয়ার মাস কয়েক পরেই দমদমের ফ্ল্যাট ছেড়ে টলিগঞ্জে চলে আসেন অভিনেত্রী। এই সিরিয়ালের সেটেই গড়ে উঠে দীপঙ্করের সঙ্গে তাঁর প্রেম সম্পর্ক। পরিবারের কেউই এই সম্পর্কে রাজি নয় শুরু থেকেই তা ভালোভাবেই জানা আছে অহনার। তবে হঠাৎ করে প্রকাশ্যে কেন এই নিয়ে কথা বলছেন তাঁর মা তা জানা নেই অভিনেত্রী। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে বেশিকিছু বলতে চান না অহনা। তাঁর কথায়, ‘আমি ভাল আছি। সুরক্ষিত আছি। কোনও সমস্যা নেই। আমাকে কেউ কিডন্যাপ করেনি’।
যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এদিনও মেয়ের উদ্দেশে মায়ের কাতর আর্জি, ‘তোকে ছাড়া আমরা ভালো নেই, ফিরে আয়’। সঙ্গে চাঁদনি দেবীর প্রশ্ন, ‘এ কেমন প্রেম? যে নিজের মা-এর ভালোবাসা ভুলিয়ে দেয়, স্নেহ-মায়া-মমতা সবকিছু তুচ্ছ করে দেয়। ৭৪ বছরের বৃদ্ধ দাদু-দিদাকে মিথ্য়ুক বানায়, সবাই ভুল কী করে হতে পারে?….. আমি কোনওদিন ওর অমতে জীবন কাটিয়েছি? কিন্তু আজ বিরোধিতা না করলে আমার মেয়ে শেষ হয়ে যাবে। এটা কোনও ঝগড়া নয়… এই প্রতিবাদ হল একজন মায়ের তার মেয়েকে বাঁচিয়ে ঘরে ফেরানোর অনুরোধ’।
For all the latest entertainment News Click Here