ঠাকুমার পরিচয় কখনও ব্যবহার করেননি, ফাঁস করলেন আশা ভোঁসলের নাতি চিন্টু ভোঁসলে
সংগীত শিল্পী চিন্টু ভোঁসলে। সম্পর্কে কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলের নাতি তিনি। কিংবদন্তি শিল্পী পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সদ্য এক সাক্ষাৎকারে চিন্টু ভোঁসলে দাবি করেন, কর্মজীবনে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি তাঁর বংশ পরিচয় ব্যবহার করেননি কখনও।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সদ্য এক সাক্ষাৎকারে চিন্টু ভোঁসলে জানিয়েছেন, ‘সবার প্রথমে এটাই জানাতে চাই, আমার মনের ওপর কোনও চাপ ছিল না। কারণ মিউজিককে কেরিয়ার হিসেবে নেব, তা কখনও ভাবিনি। আমি এমবিএ করেছি। কর্পোরেটে কাজ করতে চেয়েছি’। যখন তিনি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার তৈরির কথা ভাবেন, সেইটা তাঁর কাছে বেশ কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল, স্বীকার করেছেন চিন্টু।
তিনি আরও বলেন, ‘মিউজিক আমার প্যাশন আর হবি দুটোই ছিল। স্কুলে ব্যান্ড ছিল আমার। আরও একটা বিষয় আমার পরিবারের মতো ভারতীয় সংগীত নিয়ে কখনও কাজ করিনি আমি’। ভোঁসলে বলেছেন যেহেতু তিনি মিউজিকে কেরিয়ারের জন্য ভিন্ন পথ অনুসরণ করেছিলেন, তাই তিনি কখনই স্বজনপ্রীতির প্রশ্নের সম্মুখীন হননি।
চিন্টুর কথায়, বড় হওয়ার দিনগুলোতে ওয়ের্স্টান মিউজিক শুনতেন তিনি। সিনেমার গানের প্রতি ততটা ঝোঁক ছিলনা তাঁর। ইংরেজি গান গাইতেন। জোর করে অন্য কিছু শুনতে হবে, এমন কোনও চাপ ছিল না তাঁর উপর। তিনি এখন সংগীতের শিক্ষক এবং ফুর্তাদোস স্কুল অব মিউজিকের শিক্ষাগুরু তিনি।
‘ব্যান্ড অব বয়েস’-এর সদস্য চিন্টু ভোঁসলে। করণ ওবেরয়, সিদ্ধার্থ হলদিপুর, শেরিন ভার্গিস এবং সুধাংশু পান্ডের সাথে হিন্দি বয়ব্যান্ড, ব্যান্ড অফ বয়েজের অংশ হওয়ার পরে তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ভোঁসলে প্রকাশ করেছেন যে এসবের পরেও, অনেকেই জানত না যে তিনি আশা ভোঁসলের নাতি।
সংগীত শিল্পী বলেন, ‘আমি এই ব্যক্তি পরিচয় এড়িয়ে যেতাম। যখন আমি নিজের কিছু মিউজিক তৈরি করতে পেরেছি, তখন এটা নিয়ে কথা বলেছি। আমার ঠাকুমা আমাকে বলত, তুই যে আমার নাতি, সেটা বলতে কি তোর লজ্জা করে? আমার মনে হত, এটা তো খোলা দরজা। এটা নতুন করে আমি আর খুলব না। ঠাকুমা যে কোনও সময় সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত ছিল। আমি সাহায্য নিতে চািনি। ঐতিহ্যকে পুঁজি করে সুবিধে নিতে চাইনি’।
For all the latest entertainment News Click Here