টেস্টের ইতিহাসে ৪র্থ ইনিংসে ২য় দ্রুততম শতরান, বেয়ারস্টো ঝড়ে উড়ল কিউয়িরা
শুভব্রত মুখার্জি: ব্যাটিং ঝড় বা তাণ্ডব বললেও মনে হয় কম বলা হয়। ঘরের মাটিতে নটিংহ্যামে চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনের শুরুতে তিনটি ফলাফল হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। নিউজিল্যান্ডের জয়, ইংল্যান্ডের জয় এবং ড্র সবকটি রেজাল্টের সম্ভাবনাই ছিল। তব সবকিছু যেন চোখের পলকে বদলে দিয়ে ইংল্যান্ডের জয়টা নিজের ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে লিখে দিলেন ইংল্যান্ডের উইকেট রক্ষক ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অল্পের জন্য তার হাতছাড়া হল চতুর্থ ইনিংসে দ্রুততম শতকের নজিরটি। মাত্র ১ বলের ব্যবধানে স্পর্শ করা হল না গিলবার্ট জেসপের নজির।
প্রসঙ্গত ১৯০২ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে গিলবার্ট জেসপ চতুর্থ ইনিংসে মাত্র ৭৬ বলে করেছিলেন তার শতরান। আর বেয়ারস্টো কিউয়িদের বিরুদ্ধে তার শতরান করতে নিলেন ৭৭ বল। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন শাহিদ আফ্রিদি। তিনি ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্রিজটাউন টেস্টে ৭৮ বলে শতরান হাঁকিয়েছিলেন পাকিস্তানের হয়ে। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন দীর্ঘদেহী প্রাক্তন অজি ওপেনার ম্যাথু হেডেন। ২০০৩-০৪ মরশুমে সিডনিতে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ৮৪ বলে তিনি করেছিলেন শতরান। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জো ডার্লিং। তিনি ১৮৯৭/৯৮ মরশুমে সিডনিতেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮৫ বলে হাঁকিয়েছিলেন শতরান।
৯২ বলে ১৩৬ রানের এক রূপকথার ইনিংস খেললেন জনি। তার ইনিংস সাজানো ছিল ১৪ টি চার এবং ৭ টি ছয়ে। স্ট্রাইক রেট ১৪৭.৮২। মারকাটারি ইনিংস খেলে থ্রি লায়ন্সদের জয়ের ভিত গড়ে দেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু শেষ করেন সদ্য অধিনায়ক হওয়া বেন স্টোকস। ৭০ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থেকে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন তিনি।
For all the latest Sports News Click Here