‘টুরু ন্যাকামি’! বিয়ের মণ্ডপে বউ-বদল দেখে বিরক্ত দর্শক, থাকছে সামান্য টুইস্টও
কেউ বলছেন- ‘সেই এক ঘেঁয়েমি গল্প’, কারুর মুখের বুলি ‘যাক, এবার অন্তত সিঁদুরটা উড়ে এসে পড়েনি’। গাঁটছড়ার নতুন প্রোমো নিয়ে কার্যত হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতোদিন আমরা শুনেছি টুরু লাভ’-এর কথা, গাঁটছড়ার ঝলক দেখে দর্শকরা বলেছেন একেই বলে ‘টুরু ন্যাকামি’।
দ্যুতির (শ্রীমা ভট্টাচার্য) প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে তাঁকে বিয়ে করতে চলছিল কোটিপতি হিরে ব্যবসায়ী পরিবারের বড় ছেলে ঋদ্ধিমান (গৌরব চট্টোপাধ্যায়)। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বউ পালিয়েছে, তাও আবার বরের ছোট ভাই রাহুলের (অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়) হাত ধরে। সব মিলিয়ে এক গোলমেলে পরিস্থিতি। এবার মায়ের নির্দেশে কনে সেজে বিয়ের আসরে হাজির খড়ি (শোলাঙ্কি রায়)। এমন গল্প এর আগে বহুবার ছোটপর্দায় উঠে এসেছে। হিন্দিতে ‘ছোটি বহু’ কিংবা ‘উত্তরণ’-এর মতো ধারাবাহিকে বছর দশেক আগেই তো এইসব গল্প দেখানো হয়েছে, বাংলাতেও বউ বদলের গল্পের খামতি নেই। তবে ২০২২ এসে নতুন কী পাচ্ছে দর্শক? এমনই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। শোলাঙ্কি আর গৌরবের মতো অভিনেতাদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারল না নির্মাতারা ধেয়ে আসছে এমন অভিযোগও।
‘গাঁটছড়া’র নতুন প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, সিঁদুরদানের ঠিক আগের মুহূর্তে ঘোমটা খুলে দেবে খড়ি, জানাবে ‘আমি দ্যুতি নই খড়ি’। সেই থেকে তো চোখ ছানাবড়া ঋদ্ধিমানের, মণ্ডপ ছেড়ে উঠে দাঁড়াবে সে। হাজির রয়েছে সংবাদমাধ্যমও, সেখানেই বুম বাড়িয়ে সাংবাদিকের প্রশ্ন- ‘আপনার কনে কি তবে পালিয়েছে? বিয়ে কি তবে ক্যানসেল?’ দ্যুতি সঙ্গে সঙ্গে জানায়- ‘বিয়ে হবে না’। কিন্তু ছেড়ে দেবে না ঋদ্ধিমান, তখন তাঁর মুখে উলটো কথা। ‘ঠকিয়ে বড়লোকের বাড়ির বউ হওয়ার মাশুল দেবে তুমি সারাজীবন’, সিঁদুরে খড়ির মাথা রাঙিয়ে একথাই বলতে শোনা যাবে ঋদ্ধিমানকে।
আসলে শুরু থেকেই দু-চোখে পরস্পরকে সহ্য করতে পারে না তাঁরা। বহুবার কথা কাটাকাটি হয়েছে দুজনের। ঋদ্ধিমানকে বড়লোক বাড়ির অহঙ্কারি ছেলে বলেই বিশ্বাস করে খড়ি, অথচ এর আগে ঋদ্ধিমানের হাত থেকে উড়ন্ত সিঁদুর এসে খড়ির সিঁথি ভরিয়ে দিয়েছে কারণ ওই যে বিধাতার বাঁধন। এবারও তেমনটাই ঘটল। এখন দেখবার ‘গাঁটছড়া’র এই মজবুত বন্ধন কীভাবে পালটে দেবে পরস্পরকে নিয়ে ঋদ্ধিমান আর খড়ির ধারণা। কেমনভাবে সম্পর্কের বরফ গলবে দুজনের? এখন সেই দিকেই তাকিয়ে ফ্যানেরা।
For all the latest entertainment News Click Here