‘টুপি-চশমাটাও চুরির টাকায়?’, মলদ্বীপে তোলা খালি গায়ের ছবি শেয়ার করে ট্রোলে বনি
যবে থেকে দুর্নিতী কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে বনির, তবে থেকে যেন সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিংয়ের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না এই নায়ক। তৃণমূল নেতার থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় সেই সময় তাঁকে ডেকে পাঠায় ইডি, জেরার পর টাকা ফেরতও দিয়ে দেন, এসবই এখন বেশ পুরনো। তবে নতুন নতুন ট্রোলের যেন কোনও অন্ত নেই। গত বছরই মলদ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন বনি আর কৌশানি। নীল জল-সাদা বালির সেই মোহ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। মাঝেসাঝেই পুরনো ছবি নতুন করে পোস্ট করে বসেন। আর তাই নতুন করে হাসি আর ট্রোলের খোরাক হয়ে দাঁড়ায়।
বিচ ভাইবস ক্যাপশনে মলদ্বীপে তোলা কিছু ছবি সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নেন ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ নায়ক বনি। যেখানে দেখা গেল পরে আছেন শর্টস। দাঁড়িয়ে আছেন মলদ্বীপের সেই বিচ ভিলার সামনের আইকনিক কাঠের সাঁকোতে। খালি গা। বিভিন্নভাবে পোজ দিয়ে ছবিগুলি তোলা। প্রায় ৭-৮টি ছবি দেন নিজের।
একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘নিশ্বাসটা ছাড়ুন। তাহলেই আসল সিক্স প্যাক বের হয়ে আসবে।’ আরেকজন লিখলেন, ‘এই ছবির পর আপনি মোস্ট লিডিং পার্সন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’। তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘ট্রিপের কথা ছেড়েই দিলাম, টুপি আর চশমাটাও কি চুরির টাকায় কেনা?’
ইডি-র তদন্তে দেখা যায় তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ লাখ টাকা বনির অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে। কুন্তল গ্রেফতার হতেই একে একে খোলস হতে থাকে টলিউডের মধ্যে জড়িয়ে থাকা অন্ধকার দিক। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয় বনিকেও। দু দিনের ম্যারাথন জেরার পর, যদিও শেষমেশ ৪০ লাখ টাকার চেক ইডিকে লিখে দিয়েছিলেন বনি। সেই সময় অভিনেতা জানিয়েছিলেন, তাঁকে একটি ছবির জন্যই কুন্তল এই টাকাটি দিয়েছিলেন। যদিও তার কোনও লিখিত চুক্তিপত্র তাঁর কাছে নেই। কারণ, টলিউডে এখনও অনেক কাজ এভাবে করা হয়।
সেই সময় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সত্যিই কি বনির পারিশ্রমিক ৪০ লাখ? যাতে তিনি জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমি ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো। এতগুলো বছর খেটে আমি পরিশ্রম করে এই পারিশ্রমিক অর্জন করেছি। তাই সেটার ওপর কেউ কথা বলতে পারে না।’ তারপর তাঁর বলা এই ‘ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো’ মন্তব্য নিয়ে ট্রোল যে এখনও চলছে তা বনির নানা পোস্টের কমেন্ট সেকশনে চোখ রাখলেই বোঝা যায়।
For all the latest entertainment News Click Here